বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন! চাঁদের মাটিতে ভারতের “চন্দ্রযান” (Chandrayann-3)-এর সফল অবতরণ করার লক্ষ্যে আরও একবার দেশবাসী আশায় বুক বাঁধছে। এদিকে, ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র ISRO (Indian Space Research Organisation) জানিয়েছে যে, আগামী ১৪ জুলাই দুপুর ২ টো বেজে ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটা থেকে এই উৎক্ষেপণ সম্পন্ন হবে।
মূলত, ISRO-র হেভিলিফ্ট লঞ্চ ভেহিক্যাল LVM-3 এই “চন্দ্রযান-৩” বহন করবে। আর এইভাবেই ফের চাঁদে মহাকাশযান অবতরণ করার লক্ষ্যে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হিসেবে নজির তৈরির চেষ্টায় রয়েছে ভারত। এদিকে, এর আগে চন্দ্রযান-২-এর ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ISRO চন্দ্রযান-৩-এর জন্য “সাফল্য-ভিত্তিক নকশার” (Success-Based Design) পরিবর্তে “ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা” (Failure-Based Design) নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইতিমধ্যেই ISRO-র চেয়ারম্যান চিফ এস সোমানাথ এই প্রসঙ্গে বিশদ বিবরণ জানিয়ে বলেছেন, “সংক্ষেপে আপনি যদি বলেন চন্দ্রযান-২-তে কি সমস্যা ছিল, সেক্ষেত্রে এটা বলা সহজ যে, প্যারামিটারের বৈচিত্র্য পরিচালনা করার ক্ষমতা খুব সীমিত ছিল।”
পাশাপাশি, তিনি আরও জানান, “সুতরাং, আমরা এই সময় যা করেছি তা হল এটিকে আরও প্রসারিত করা। কি কি ভুল হতে পারে তা লক্ষ্য করা হবে। তাই, চন্দ্রযান-২-তে থাকা সাফল্য-ভিত্তিক নকশার পরিবর্তে, আমরা চন্দ্রযান-৩-এ ব্যর্থতা-ভিত্তিক নকশা করছি। কিভাবে সব ব্যর্থ হতে পারে, এবং কিভাবে এটি রক্ষা করা যায়, এই পদ্ধতিটিই আমরা নিয়েছি…।”
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, চন্দ্রযান-৩ হল চন্দ্রযান-২-এর একটি ফলো-অন মিশন। এর প্রধান লক্ষ্য হল চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করা এবং লুনার সারফেসে রোভারিং করা।
ইতিমধ্যেই এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, “চাঁদের পৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩-র সফল অবতরণের পরে, ছ’চাকা বিশিষ্ট রোভারটি বেরিয়ে আসবে এবং চাঁদে ১৪ দিন ধরে কাজ করবে। রোভারে একাধিক ক্যামেরার ফলে, ছবিগুলিকে পাওয়া যাবে।”