বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ৩৭০ মিটার ব্যাসের একটি বিপজ্জনক গ্রহাণু (Asteroid) পৃথিবীর (Earth) কাছ দিয়ে চলে যাবে। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সাথে এটির সংঘর্ষেরও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছ। এর আগে, ১৯০৮ সালের ৩০ জুন সাইবেরিয়ার দূরবর্তী স্থান তুঙ্গুস্কায় একটি গ্রহাণুর সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট বিশাল বায়বীয় বিস্ফোরণ প্রায় ২,২০০ বর্গ কিলোমিটারের ঘন বনাঞ্চল ধ্বংস করেছিল। যার ফলে ধ্বংস হয়ে যায় ৮ কোটি গাছ। এমতাবস্থায় জানা গিয়েছে, বর্তমানে পৃথিবীর (Earth) কাছাকাছি আসা গ্রহাণুটির ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল তারিখে অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
বলা হয়ে থাকে যে, যখনই কোনও গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত করে তখনই একাধিক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়। এমনও একটি অনুমান রয়েছে যে, এইরকম ঘটনার কারণেই ডাইনোসর পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ সংস্থাগুলি গ্রহাণু থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য গ্রহের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা তৈরির দিকে কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO-ও এক্ষেত্রে গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। এই বিষয়ে সর্বশেষ আপডেট জানিয়েছেন ISRO প্রধান এস সোমনাথ।
তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের জীবনকাল ৭০ থেকে ৮০ বছর এবং আমরা আমাদের জীবদ্দশায় এমন কোনও দুর্যোগ দেখিনি। অতএব আমরা অনুমান করি যে এটি হওয়ার সম্ভাবনা কম। আপনি যদি পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের ইতিহাসের দিকে তাকান তবে গ্রহাণুগুলির গ্রহগুলিতে পৌঁছনোর ঘটনা প্রায়শই ঘটে থাকে। আমি বৃহস্পতিবার শুমেকার-লেভিতে আঘাত করা গ্রহাণুটি দেখেছি। পৃথিবীতে এমন ঘটনা ঘটলে আমরা সবাই বিলুপ্ত হয়ে যাব।”
আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ের আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রীও! টিম ইন্ডিয়ার সাথে দেখা করে দিলেন বড় প্রতিক্রিয়া
তিনি আরও বলেছেন, “এগুলো বাস্তব সম্ভাবনা। আমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আমরা এটা পৃথিবীতে ঘটাতে চাই না। আমরা চাই মানুষ এবং সকল জীব এখানে বসবাস করুক। কিন্তু আমরা এটা বন্ধ করতে পারি না। আমাদের বিকল্প খুঁজতে হবে। আমাদের কাছে একটি উপায় আছে যার মাধ্যমে এটি বিচ্যুত করতে পারি। আমরা পৃথিবীর কাছাকাছি আসা গ্রহাণু শানাক্ত করতে পারি এবং এটিকে দূরে সরিয়ে দিতে পারি। কখনও কখনও এটি অসম্ভব হতে পারে। তাই প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রয়োজন। পাশাপাশি, ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। সেগুলিকে বিচ্যুত করার জন্য সেখানে ভারী প্রপস পাঠানোর ক্ষমতা থাকতে হবে। উন্নত পর্যবেক্ষণ এবং একটি প্রোটোকল রাখার জন্য অন্যান্য দেশের সাথে যৌথভাবে কাজ করা দরকার।”
আরও পড়ুন: করবেন না টেনশন! এখনও সস্তায় মিলবে Airtel-Jio-র রিচার্জ প্ল্যান, জেনে নিন সিক্রেট উপায়
ISRO প্রধান বলেন যে, “আগামী দিনে এটি রূপ নেবে। যখন এইরকম হুমকি বাস্তবে পরিণত হবে, তখন মানবতা একত্র হবে এবং এটির বিরুদ্ধে কাজ করবে। মহাকাশের দিক থেকে একটি নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এটি শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়, বরং এটি সমগ্র বিশ্বের জন্য বিবেচিত। যেখানে আমাদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা, প্রোগ্রামিং ক্ষমতা এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে কাজ করার ক্ষমতা প্রস্তুত ও বিকাশের দায়িত্ব নিতে হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ISRO প্রধান বিশ্ব গ্রহাণু দিবসে (গত ৩০ জুন) ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা আয়োজিত একটি কর্মশালায় ভাষণ দেওয়ার সময় এই বক্তব্য পেশ করেন।