বাংলা হান্ট ডেস্ক: “এবার গল্প হচ্ছে সত্যি”! কারণ অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখাচ্ছে ইসরো (ISRO)। শুধু দেশ-বিদেশ নয় এখন থেকে কথা বলা যাবে মহাকাশেও। এমনই যন্ত্র আবিষ্কার করে ফেলেছে এই মহাকাশ সংস্থা। আপনার নিত্যদিনের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে সরাসরি যোগাযোগ মহাকাশে। এর আগে এমন আবিষ্কারের কথা হয়তো কেউই ভাবেনি। প্রতিনিয়ত, বিজ্ঞানীরা নতুনত্ব আবিষ্কার করে চলেছেন। চন্দ্রযান অভিযান থেকে শুরু করে, জলের তলায় রেল বিভিন্ন রকমের আবিষ্কার করেছেন। আর এবার স্পেস কল সম্ভব করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা।
ইসরোর (ISRO) নতুন আবিষ্কারে কল করা যাবে মহাকাশে:
মহাকাশে আদৌ কথা বলা যায় নাকি? বিষয়টি শুনতে অনেকের কাছে উদ্ভট লাগতে পারে। শুনতে উদ্ভট কিংবা অবিশ্বাস্যকর লাগলেও ডাইরেক্ট কানেক্টিভিটি সার্ভিসের মাধ্যমেই সরাসরি মোবাইল থেকে মহাকাশে কথা বলা যাবে এমনটাই জানা গিয়েছে। যদিও এটি ইসরো (ISRO) তৈরি করেছে এমনটা নয়। এটি সম্মিলিত একটি প্রজেক্ট। জানা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই মহাকাশে একটি নেটওয়ার্কিং স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে এক মার্কিন সংস্থা। আর সেই স্যাটেলাইটকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে স্থাপন করার দায়িত্ব পেয়েছে ভারতের এই মহাকাশ সংস্থা।
ঠিক কিভাবে কাজ করবে: অবশ্যই মহাকাশে কথা বলার মত কেউ নেই। কিন্তু ডাইরেক্ট কানেক্টিভিটি সার্ভিসের মাধ্যমে কারো সাথে কথা বলা না গেলেও, স্যাটেলাইটকে কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে। সেই সাথে ঝড়ের গতিতে ডাউনলোড হবে ভিডিও। মার্কিন সংস্থা এবং ইসরোর (ISRO) সম্মিলিত এই প্রযুক্তি এমন একটি প্রযুক্তি যা মোবাইল ফোনকে স্যাটেলাইটের সঙ্গে যুক্ত করবে। বলা হচ্ছে, এই প্রযুক্তি ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের মত কাজ করবে।
আরও পড়ুনঃ এখনও জ্বলছে আমেরিকা! একাধিক শহরে বিধ্বংসী আগুন, ক্ষতির পরিমাণ জানলে চমকে যাবেন
বিজ্ঞানীদের মতে, স্টারলিঙ্কের চেয়েও বেশি ভালো কাজ করবে এটি। আসলে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট এবং মহাকাশের স্যাটেলাইটের সাথে বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। স্টারলিঙ্ক নেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য নিজস্ব টার্মিনাল ব্যবহার করে থাকে। তবে এই নতুন পরিষেবায় এইসব কোন কিছুই থাকছে না। বলা হচ্ছে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সকলে দুটি সুবিধা পেতে চলেছেন। দুনিয়ার যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় মানুষ নেট সার্ভিস পাবে। আর দ্বিতীয়ত, অসামরিক বিমানের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। বলা যাচ্ছে নতুন স্যাটেলাইটের হাত ধরে মহাকাশে সরাসরি যোগাযোগের রাস্তা খুলে যাচ্ছে, এটি সকলের জন্য বিরাট বড় সুযোগ।
আরও পড়ুনঃ “আমার সামনে সম্ভাবনাময় মুখ…”, ভবিষ্যতের রাজনীতির জন্য কার নাম নিলেন মোদী?
জানা গিয়েছে, ইসরোর (ISRO) এই নতুন মাইলফলকের কথা সমাজ মাধ্যমে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং। এছাড়াও জানা যায়, আমেরিকার “AST SPACE MOBILE” এই স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাচ্ছে। সেই সংস্থাই ইসরোকে মহাকাশ পাঠানোর সুযোগ করে দিয়েছে। অর্থাৎ আবিষ্কারের ইতিহাসে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।