বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে ততই মহাকাশ গবেষণায় নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO (Indian Space Research Organisation)। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই একের পর এক নয়া মিশনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে ISRO-র তরফে। তবে, এবার চন্দ্রাভিযানের ক্ষেত্রে নতুন মিশনের উদ্দেশ্যে জাপানের (Japan) সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা।
মূলত, মঙ্গলের পর এবার শুক্র গ্রহ নিয়ে গবেষণা করার কথা ভাবছে এই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। পাশাপাশি, তারপরেই জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্ধকার অংশে নামানো হবে ISRO-র পাঠানো যান। এই প্রসঙ্গে ISRO-র ভবিষ্যৎ মিশনগুলির প্রসঙ্গে আলোকপাত করতে গিয়ে আহমেদাবাদের (Ahmedabad) ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (Physical Research Laboratory)-র ডিরেক্টর অনিল ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, জাপানের অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (JAXA) সঙ্গে ওই মিশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
পাশাপাশি, জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে চাঁদে রোভার পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। মূলত, ওই উপগ্রহের অন্ধকার দিক সম্পর্কে তথ্য পেতে এই মিশনে নামছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অন্তর্ভুক্ত ওই নির্দিষ্ট অংশটিকে বলা হয় PSR জোন। এদিকে, সবসময়ই ওই স্থান বরফাবৃত ও অন্ধকারাচ্ছান্ন হয়ে থাকে।
আর সেই অন্ধকারের রহস্য জানতেই জাপান ও ভারত যৌথভাবে অভিযান চালাবে। এদিকে, জাপানের পরিকল্পনা অনুযায়ী দক্ষিণ মেরুর নিকটবর্তী কোনো একটি জায়গায় রকেটের মাধ্যমে রোভার অবতরণ করানো হবে। তারপর ওই রোভার ছায়াঘেরা অঞ্চলে বিচরণ করে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করবে বলেও জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, অনিল ভরদ্বাজ আরও জানিয়েছেন যে, আগামী বছরের প্রথমার্ধ্বের মধ্যেই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে। তারপরই সম্পন্ন হবে শুক্র অভিযান। এদিকে, ওই দু’টি মিশন দ্রুত শেষ করে জাপানের সঙ্গে নতুন অভিযান শুরু করতে চাইছে ISRO। শুধু তাই নয়, দরকার পড়লে চন্দ্রযান-৩-এর রোভারটি পুনরায় ব্যবহার করা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এদিকে, ইতিমধ্যেই ৪০০ কেজির একটি স্যাটেলাইট তৈরি করা হচ্ছে। যেটিকে পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।