বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহাকাশে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা ইসরোর (ISRO) নয়া কীর্তি। সম্প্রতি মহাকাশে প্রেরণ করা স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট (স্পাডেক্স)-এর দুটি উপগ্রহের মধ্যে আনডকিং নিশ্চিত করেছে ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি, এই সফলতা চন্দ্রযান-৪, গগনযান ও অন্যান্য মহাকাশ মিশনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ইসরোর (ISRO) মুকুটে নয়া পালক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে মহাকাশ ডকিং প্রযুক্তি অর্জনের ক্ষেত্রে নাম লেখাল ভারত (India)। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় SpaDex। এরপর ১৬ জানুয়ারি সফলভাবে ডকিং করা হয় SDX-1 ও SDX-2 উপগ্রহ দুটিকে। ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট (স্পাডেক্স)-এর দুটি উপগ্রহের মধ্যে একটিকে ঘুরিয়ে ফের পুনরায় আগের অবস্থানে আনা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন : জোরালো ভূমিকম্প! কেঁপে উঠল দিল্লি সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশ, বঙ্গেও অনুভূত কম্পন
এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হচ্ছে ঘূর্ণায়মান বা ঘোরানো পরীক্ষা। ইসরো চিফ ভি নারায়ণান জানিয়েছেন যে, সাফল্যের সাথে গত সপ্তাহে এই পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পাশাপাশি ভি নারায়ণান বলেন, এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে উপগ্রহগুলিতে। তাই সিমুলেশনের মাধ্যমে প্রতিটি পরীক্ষা যাতে সফলভাবে হয় সেই দিকে নজর দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : দিল্লি থেকে কলকাতা হাইকোর্টে আসছেন নয়া বিচারপতি, জাস্টিসের আসল পরিচয় অবাক করবে
ইসরো স্থলভাগ থেকে উপগ্রহের সঠিক অবস্থান এবং গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে চালানো হয় এই পরীক্ষা। বিভিন্ন সফ্টওয়্যার, সেন্সর এবং পজিশনিং কৌশলগুলি অত্যন্ত সহায়ক ছিল এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে। তবে উপগ্রহটি অনুভূমিকভাবে বা উল্লম্বভাবে (যেমন অ্যাক্রোব্যাটিক্স) এই ঘূর্ণন করেছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মহাকাশে এই কৌশল রপ্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইসরোর (Indian Space Research Organisation) কাছে। চন্দ্রযান-৪ এর নমুনা রিটার্ন মিশন এবং গগনযানের পরিচালিত মহাকাশ বিমান মিশনে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠবে এই কৌশল। আগামী মাসে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা সংস্থা আরও একটি ডকিং পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছে ইতিমধ্যেই।