বিরাট নজির গড়ার পথে ISRO! প্রস্তুত ভারতীয় স্পেস স্টেশনের পরিকল্পনা, থাকবেন কতজন মহাকাশচারী?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের বড় নজির গড়ার পথে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ISRO ভারতীয় মহাকাশ স্টেশনের সাথে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ জন মহাকাশচারীকে মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ISRO-র মতে, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন তথা BAS-এর লক্ষ্য হল আন্তঃগ্রহ গবেষণা, জীবন বিজ্ঞান এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণা সহ বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টাকে সহজতর করা। ইতিমধ্যেই ISRO ভারতীয় অন্তরীক্ষা স্টেশনের জন্য তার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যা ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষমতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ISRO তৈরি করবে বড় নজির:

ওজন ৫২ টন, ৩ জন যাত্রীর জন্য তৈরি করা হবে BAS: ISRO-র মতে, BAS-এর ওজন হবে ৫২ টন এবং এটি প্রাথমিকভাবে ৩ জনের এক ক্রু দলের জন্য তৈরি করা হবে। ভবিষ্যতে এই ক্ষমতাকে ৬ জনে বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। বেঙ্গালুরুতে ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে কন্নড় টেকনিক্যাল সেমিনার চলাকালীন এই বহু প্রতীক্ষিত প্রকল্পটির উন্মোচন করা হয়েছিল।

ISRO prepares plans for Indian space station.

মহাকাশে স্থায়ী বাসস্থান তৈরির প্রচেষ্টা: ওই সেমিনারের সময়ে, ISRO মহাকাশে স্থায়ী বাসস্থান তৈরির গুরুত্ব তুলে ধরেছে। যা এই দীর্ঘমেয়াদী মিশনকে সক্ষম করবে এবং গবেষণার ক্ষমতা বাড়াবে। মানব স্বাস্থ্যের ওপর মাইক্রোগ্র্যাভিটির প্রভাব বুঝতে এবং অন্যান্য গ্রহে জীবনকে সমর্থন করতে পারে এমন প্রযুক্তির বিকাশে এই স্টেশনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান নয়, এই দেশে সম্পন্ন হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! প্রস্তুত ১৮ সদস্যের ভারতীয় দল, চলে এল বড় আপডেট

এর পাশাপাশি ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশন মহাকাশ পর্যটন এবং মহাকাশ সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে। যা মহাকাশ অনুসন্ধানের আরও বাণিজ্যিক প্রয়োগের দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনকে চিহ্নিত করবে।

আরও পড়ুন: করেছিলেন সমালোচনা! বিরাটের সেঞ্চুরি দেখে উল্টো সুর পন্টিংয়ের, অস্ট্রেলিয়ার প্লেয়ারদের দিলেন বড় নির্দেশ

ISRO-র লক্ষ্য: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় অন্তরীক্ষ স্টেশনের মাধ্যমে ISRO শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের অগ্রগতিই নয় বরং নতুন প্রজন্মের বিজ্ঞানী এবং অনুসন্ধানকারীদেরকেও অনুপ্রাণিত করতে চায়। আসলে মহাকাশ পর্যটনের সম্ভাবনা মহাকাশ বিজ্ঞানের সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততার জন্য নতুন পথ খুলে দিতে পারে। যার ফলে এটি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর