বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন দিন নতুন কীর্তিমান স্থাপন করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ইসরো)। মোদী আমলে ইসরো বিশ্বের বড়বড় দেশের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে একধাপ করে উপরে উঠে আসছে। দুদিন আগেই বাহুবলি রকেট দিয়ে চন্দ্রযান-২ মহাকাশে পাঠিয়ে ইতিহাস গড়েছে ইসরো। বিশ্বের মাত্র তিনটি দেশের কাছেই এই কৃতিত্ব ছিল। এবার ভারত চতুর্থ দেশ হিসেবে নিজেদের নাম তুলে নিলো। কিন্তু এর থেকেই আশ্চর্যজনক ব্যাপার হল, এবার ভারত যেটা করে দেখাল, সেটা আগে কোন দেশ করার সাহস দেখাতে পারেনি। ভারতের চন্দ্রযান-২ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে বিশ্বের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজেদের নাম লিখে দেবে। কারণ এর আগে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কোন দেশই তাঁদের যান পাঠানোর সাহস দেখায় নি।
আমেরিকা, রাশিয়া আর চীনও এবার ভারতকে এই কাজের জন্য স্যালুট জানাচ্ছে। আর এইসব সফল হয়েছে ভারতের কর্মঠ মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কারণে। চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণ প্রথম দিন বাতিল হলেও মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীরা দেখিয়ে দিয়েছে যে, তাঁরা কোন অংশেই কম না। চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার পর, এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মিশন সূর্য শুরু করতে চলেছে। আগামী দিনে আমাদের দেশের নাম সূর্যের আলো তে জ্বলজ্বল করবে।
তবে এগুলোর মধ্যে সবথেকে বড় ব্যাপার হল, ভারত শুধু নিজেদের স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠায় নি। বিশ্বের বড় বড় দেশ গুলো তাঁদের স্যাটেলাইট মহাকাশে কম খরচে পাঠানোর জন্য ভারতের শরণাপন্ন হয়েছে। আর বিগত ছয় বছরে ২৩৯ টি বিদেশি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়ে ৬২৮৯ কোটি টাকা আয় করেছে ইসরো। বিগত ৩ বছরে ২৩৯টি উপগ্রহ উত্ক্ষেপণ করেছে ইসরোর বাণিজ্যক শাখা অ্যান্ট্রিক্স করপোরেশন লিমিটেড। এর থেকে মোট আয় ৬,২৮৯ কোটি টাকা।