১৬ তলা বাড়ির সমান রকেট জিএসএলভি-এফ১০ মহাকাশে পাঠাচ্ছে ইসরো, অবাক পুরো বিশ্ব

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চন্দ্রযানের (Chandrayaan) পর এবার মহাকাশ যান পাঠাতে চলেছে ইসরো (ISRO)। অপেক্ষার মাত্র দুদিন। আগামী ৫ই মার্চ ভারতীয় (India) সময় বিকেল ৫টা ৪৩ মিনিটে শ্রীহরিকোটার (Sriharikota) সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে মহাকাশে পাড়ি দেবে জিস্যাট সিরিজের নজরদারি উপগ্রহ জিস্যাট-১ (GSAT-1)। যার ওজন ৪ লক্ষ ২০ হাজার ৩০০ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা প্রায় ১৬ তলা বাড়ির সমান এবং নাম জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল (জিএসএলভি)-এফ১০।

d135a68763ba070d8c2a583663e1c1c0

আমেরিকা (America), ফ্রান্স (France), চিন (Chaina), জাপানের (Japan) পর মহাকাশে এই সর্বাধুনিক ক্রায়োজেনিক রকেট (Rocket) পাঠাতে চলেছে ইসরো, যা পৃথিবী কক্ষে বসে পৃথিবীর উপরে নজরদারি চালাবে। এবং আবহাওয়ার খবর, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে রেডিও যোগাযোগ সবদিকটাই দেখবে  ইসরোর জিস্যাট-১। ২২৬৮ কিলোগ্রাম ওজনের বোঝা পিঠে চাপিয়ে পৃথিবীর জিও-সিনক্রোনাস কক্ষপথে পৌঁছে দেবে জিএসএলভি-এফ১০ রকেট।

১৯৯০ সাল থেকে ইসরোর অভ্যন্তরে প্রকাশ ঘটেছে জিওসিনক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকলের। ২০০১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৩টি কৃত্রিম উপগ্রহকে জিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরো। জিএসএলভি-এফ১০ রকেটের পিঠে করেই পৃথিবীর কক্ষে পৌঁছবে উপগ্রহ জিস্যাট-১।এর আগে ২০০১ সালে ‘জিএসএলভি-মার্ক-টু’ রকেট মহাকাশের উদ্দ্যেশ্যে পাঠিয়েছিল ইসরো। ‘জিএসএলভি-মার্ক-থ্রি’ রকেট ইসরোর পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের (পিএসএলভি) চেয়েও বেশি ওজন ধারণ করতে পারে।

জিএসএলভি-এফ১০ রকেটও সেই ধরণের ক্ষমতা সম্পন্ন। এই রকেটে রয়েছে কঠিন, তরল ও ক্রায়োজনিক স্তরের তিনটি স্তর। এই ধরনের রকেটের ইঞ্জিন চলবে তরল হাইড্রোজেন আর তরল অক্সিজেন দিয়ে। এই তরল শূন্যের নীচে ২৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা থাকে। সেই জ্বালানির মাধ্যমেই মহাকাশে পাড়ি দেয় এই ধরনের ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। যে কোনও ওজনের উপগ্রহকে নিজের কাজ সঠিকভাবে করার জন্য পৌঁছে দিতে পারে পৃথিবীর জিও-সিনক্রোনাস কক্ষপথে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর