বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী দিনে ভারত (India) মহাকাশ ক্ষেত্রে বড় বদলের সঙ্কেত দিয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) ঘোষণা করেছে যে, এখন থেকে প্রাইভেট কোম্পানি গুলো রকেট এবং স্যাটেলাইট বানাতে পারবে। ISRO এর চেয়ারম্যান কে সিবান (Kailasavadivoo Sivan) বলেন, এবার স্পেস সেন্টারকে বেসরকারি কোম্পানির জন্য খুলে দেওয়া হবে। আপনাদের জানিয়ে দিই, এ বছরই নাসা প্রথমবার প্রাইভেট কোম্পানির স্পেসএক্স এর মহাকাশ যানের মাধ্যমে দুজনকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠিয়েছে।
ISRO-এর প্রধান কে সিবান বলেন, ‘মহাকাশে ভারত উন্নত প্রজুক্তির দেশ গুলোর মধ্যে একটি। সেখানে ভারত শিল্পোদ্যোগ বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সরকার ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠান গুলোর জন্য মহাকাশের দ্বার খুলে ISRO-এর জন্য সংস্কার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
উনি আরও বলেন, এবার থেকে বেসরকারি কোম্পানি গুলোকে রকেট আর স্যাটেলাইট বানানো এবং প্রক্ষেপণ সেবার মতো মহাকাশ গতিবিধির জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে। উনি বলেন, এবার থেকে ব্যাক্তিগত কোম্পানি গুলো ISRO-এর আন্তগ্র্রহ মিশনের অংশ হতে পারবে। যদিও উনি এও বলেন যে, এরফলে ইসরোর গতিবিধি কম হবেনা, ইসরোর তরফ থেকে উন্নয়ন আর গবেষণা লাগাতার চলতে থাকবে।
আপনাদের জানিয়ে দিই, বিগত কয়েকবছর ধরে বেসরকারি কোম্পানি গুলো ISRO কে কম্পোনেন্টস আর অন্যান্য সামগ্রী দিত। সিবান বলেন, ‘এবার মহাকাশ অনুসন্ধান কেন্দ্রে রোজগারের সম্ভাবনা বাড়বে। এছাড়াও এই সেক্টরের গ্রোথের বিপুল সম্ভাবনা আছে।” আপনাদের জানিয়ে দিই যে, আমেরিকা, চীন আর ইউরোপের মতো অনেক দেশের মহাকাশ নিয়ে চলা গবেষণায় বহু বছর ধরে প্রাইভেট কোম্পানি গুলো অংশীদারি পালন করছে।
Boosting private participation in Space activities: Govt. to provide predictable policy and regulatory environment to private players#AatmaNirbharEconomy in Space Sector pic.twitter.com/JnOLwn2nut
— PIB India (@PIB_India) May 16, 2020
জানিয়ে দিই, বুধবার ক্যাবিনেট মহাকাশের সাথে যুক্ত গতিবিধিতে প্রাইভেট কোম্পানি গুলোর অংশিদারিত্বতে মঞ্জুরি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, এর ফলে শুধু এই সেক্টরেরর উন্নয়নই হবে না, এর থেকে বেশি ভারতীয় শিল্পদ্যগ বিশ্বের মহাকাশ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। এর সাথে সাথে প্রযুক্তি সেক্টরে বড় পরিমাণে রোজগারের সম্ভাবনা বাড়বে আর ভারত একটি গ্লোবাল প্রযুক্তি পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে।