বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের উচ্চকাঙ্খি অভিযান চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan 2) এর ল্যান্ডার বিক্রমের সম্পর্ক চাঁদের মাটিতে অবতরণ করার মাত্র ২.১ কিমি আগে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। কিন্তু এই ঘটনা ইসরোর (ISRO) বিজ্ঞানীদের মনোবল ভাঙতে পারেনি। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইসরোর বিজ্ঞানীদের আরও এগিয়ে যাওয়ার সাহস দিয়েছেন। এমনকি দেশের প্রতিটি মানুষ ইসরোর উপরে গর্ব বোধ করছে। তাছাড়াও বিদেশী মিডিয়া এবং আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ইসরোর এই প্রয়াসকে স্যালুট জানিয়েছে।
ইসরোর প্রধান কে. সিবন গতকাল বলেছিলেন যে, চন্দ্রযান-২ (Chandrayaan 2) ব্যার্থ হয়নি। চন্দ্রযান-২ তাঁর ৯৫ শতাংশ কাজ পূরণ করেছে, শুধু ল্যান্ডার বিক্রমের সাথে পৃথিবীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এরপর আজ আবার ইসরো থেকে জানানো হয়েছে যে, ল্যান্ডার বিক্রমের হদিশ পাওয়া গেছে। অর্বিটার তাঁর ছবিও পাঠিয়েছে। ইসরো এখন বিক্রমের সাথে যোগাযোগ করার জন্য সবরকম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরো এবার চন্দ্রযান-২ এর মিশনের পর চাঁদে আরও বড় মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরোর এই মুন মিশন গতবারের থেকে ভালো এবং আরও উন্নত হবে। এই মিশনে ইসরো চাঁদের মরু অঞ্চল থেকে স্যাম্পেল যোগার করবে। চাঁদের মরু অঞ্চলে এই অভিযানের জন্য জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (JAXA) ইসরোর সাথে হাতে মিলিয়েছে। ইসরোর থেকে একটি বয়ান জারি করে বলা হয়েছে যে, ‘ইসরো আর JAXA এর বিজ্ঞানীরা চাঁদের মরু অঞ্চলে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জন্য সংযুক্ত স্যাটেলাইট মিশন নিয়ে চর্চা করছে।”
ISRO আর JAXA এর এই সংযুক্ত মিশন ২০২৪ সালে শুরু করা হবে। এর আগে ভারত ২০২২ সালে গগনযান মিশনকে পূরণ করার লক্ষ্য রেখেছে। এই গগনযান মিশনে মানুষকে মহাকাশে পাঠাবে ইসরো। প্রথমবার জাপান আর ভারতের মধ্যে সংযুক্ত মুন মিশন নিয়ে ২০১৭ সালে কথা হয়েছিল। এই কথাবার্তা মাল্টি স্পেস এজেন্সি ব্যাঙ্গুলুরুতে তাঁদের বৈঠকে করেছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাপান সফরে গিয়ে এই মিশন নিয়ে আলোচনা করেন।