বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে নিন্দার শিকার হন ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) এক বিধায়কের। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার ওই সদস্য নেতা হলেন লোবিন হেমব্রম। বর্তমান সময়ে মেয়েদের উপর হওয়া পাশবিক এবং নির্মম ঘটনা ধর্ষণের জন্য তিনি মেয়েদেরই দায়ী করলেন।
বর্তমান সময়ে মানুষ দীর্ঘ সময় বন্দিদশা কাটিয়ে উঠে আবারও জীবনের পুরোন চেনা ছন্দে ফেরার চেস্তায় রয়েছে। করোনা সতর্কীকরণ মেনেই দৈনন্দিন ব্যস্ত জীবনের কর্মসূচী সামলে চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল হতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেয়েদের উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরসের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। এরপর আলিগড়, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল এবং গত সপ্তাহেই ঝাড়খণ্ডের দুমকায় (Dumka) এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশে আসে। দুমকার এই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে নির্মম ভাবে হত্যা করে দুস্কৃতীরা।
সোমবার দুমকায় বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিতর্কিত মন্তব্য করলেন JMM বিধায়ক লোবিন হেমব্রম। বিধায়কের কথায়, ছেলে মেয়েরা যখন মদ গাঁজা খায়, তাদের অভিভাবকরা দিব্যি চুপ করে থাকে। আজকের দিনের ছেলে মেয়েরা অনেকটাই খোলামেলা। তাদের হাতে ফোন রয়েছে, তারা একে অপরের সঙ্গে অবলীলাক্রমে কথা বার্তা বলছে। যখন একটি মেয়ে সন্ধ্যাবেলা বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে, তখন তাঁর অভিভাবক কি করছে! মেয়েরা সন্ধ্যের সময় বাড়ি থেকে বেরোলেই এই ধরণের ঘটনা আবারও ঘটবে। দুমকার ঘটনার বিষয়ে রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশকে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে’।
JMM বিধায়কের এই ধরণের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিভিন্ন মহলে তিনি সমালোচিত হয়েছে। তা ছাড়াও, বিরোধী দলের তীব্র নিন্দার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র প্রতুল সহদেও বলেছেন, ‘একজন আইনপ্রণেতার মুখে এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই শোভনীয় নয়। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। ঝাড়খণ্ডে যে ধরনের তালিবানি রাজ চলছে, এই ধরনের ঘটনা তারই প্রমাণ।’