বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই রীতেশ তিওয়ারি এবং জয়প্রকাশ মজুমদারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। তারপরে চব্বিশ ঘন্টা যেতে না যেতেই প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলের দীর্ঘদিনের বক্তব্যকেই কার্যত মেনে নিলেন রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষস্থানীয় নেতা। পরিষ্কার ভাবে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন যে, “বাইরের লোকজনই বাংলার বিজেপিকে ডুবিয়ে দিল।”
“বাইরের লোক” প্রসঙ্গটিকে তিনি মোট দু’টি ভাগে বিভক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, “এক ধরণের বাইরের লোক হচ্ছে, অন্য দল থেকে লাইন দিয়ে আসা ব্যক্তি এবং দুই, বাংলার বাইরের রাজ্যের নেতাদের এনে এখানে ভোট করানো।”
পাশাপাশি, জয়প্রকাশের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, “বিরোধী রাজনীতি কিভাবে করতে হয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে শেখা উচিত।” এখানেই না থেমে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, “বাংলার বিজেপি শুধুমাত্র হাইকোর্ট নির্ভর। আর ২০০৮-০৯ সালে যখন মমতা ব্যানার্জি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তখন তাঁর লড়াই ছিল মাঠে-ময়দানে। তিনি কখনোই আদালতের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকতেন না।”
এছাড়াও, জয়প্রকাশ সাংবাদিক বৈঠকে নিজের দলের প্রতিও ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অনেক বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু, কেউ কথা শোনেননি। ভার্চুয়াল বৈঠকে কথা বলতে দেওয়া হয়না। কেউ কিছু বলতে গেলে আইটি টিম মাইক অফ করে দেয়।”
পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির বর্তমান নেতাদের উদ্দেশ্যেও তোপ দাগেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেন যে, “আপনারা কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়ছেন। এসব করবেন না। তাতে আপনারই বিপদ হবে। এখন এবিভিপি করে আসারা এমন করছেন যেন তাঁরাই সব। আর যাঁরা ৪ শতাংশের দলকে ৪০ শতাংশে পৌঁছে দিল তাঁদের কোনো মর্যাদা নেই।”
এদিকে, রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতার কাছ থেকে এহেন বক্তব্য শুনে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পর যে অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল সেটাই চলতি বছরের শুরুতে ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে।