করোনা ভাইরাস উহান ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রাণঘাতী রোগের মতন মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ভাইরাসটি এখন চীনের গন্ডি পেরিয়ে অন্যান্য দেশেও ছড়াতে শুরু করেছে৷বেশ কয়েকদিন ধরে এই ভাইরাস আতন্ক ছড়াচ্ছে। চিনের পাশাপাশি ভারতেও মিলেছে করোনা ভাইরাস। শরীরে এই রোগ প্রথম আসে সামুদ্রিক খাবার থেকে। আর গবাদি পশুরা এই খাবার খাওয়ার পর তাদের শরীরে এই জীবানু প্রবেশ করে , সেখান থেকে আবার তাদের মাংস খেলে তা আবার মানুষের শরীরে পুনরায় প্রবেশ করে।
জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন করোনায় আক্রান্ত রুগীরা । এছাড়াও কেরলের বিভিন্ন জেলায় আরও ৬ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।এমনকি প্রত্যেক বিমানবন্দরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ৪ হাজার ৮২ জন যাত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সৌদি আরবে কর্মরত এক ভারতীয় নার্স। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড এমনকি আমেরিকার মতো দেশেও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ মিলেছে।
এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে চীনের বাইরে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে৷ চীনে মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চারশ৷করোনা ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা যেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তেমনি নতুন নতুন দেশে সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে৷উহান কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ লি ওয়েনল্যাং যখন ভাইরাসটি নিয়ে সহকর্মীদের সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলেন। গত ডিসেম্বরে সংক্রমণের সাতটি ঘটনা পান এই চিকিৎসক। তার কাছে এই ভাইরাসটি দেখতে সার্সের (২০০৩ সালে বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ নিয়েছিল) মতোই মনে হয়েছিল৷
উহানের হুনান সিফুড মার্কেট থেকে সংক্রমিত ধরে নিয়ে ওই রোগীদের হাসপাতালে অন্যদের থেকে আলাদা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়৷ডা. লি গত ৩০ ডিসেম্বর গ্রুপ চ্যাটে সহকর্মী চিকিৎসকদের ভাইরাসটি নিয়ে সতর্ক করে সংক্রমণ এড়াতে ‘প্রতিরক্ষামূলক পোশাক’ পরার পরামর্শ দিয়ে একটি সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন৷ তবে তখন তিনি জানতেন না – যে রোগটি ধরা পড়েছে সেটি সম্পূর্ণ নতুন একটি করোনা ভাইরাস।ইউহান এখন কেমন একটা ভুতুরে এলাকায় পরিনত হয়েছে। মানুষ জন বাড়িতে থাকেন বেরোন না। সব মিলিয়ে রাস্তাঘাট ফাকা এবং কেমন যেন শুনশান এলাকা। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওতে দেখা গেছে জমজমাট এলাকা কতটা ফাকা ।