বাংলাহান্ট ডেস্ক: জ্যাকি শ্রফ (Jackie shroff), বলিউডের (bollywood) জনপ্রিয় অভিনেতাদের তালিকায় অন্যতম নাম। দীর্ঘদিন ধরে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত তিনি। বহু হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। বাবার অভিনয়ের ধারা বজায় রেখে ছেলে টাইগার শ্রফও (tiger shroff) পা রেখেছেন বলিউডে। প্রথমে তেমন ছাপ ফেলতে না পারলেও ধীরে ধীরে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিচ্ছেন তিনি।
ছেলের এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্বটাই নিজের মা, স্ত্রী এবং শাশুড়িকে দিয়েছেন জ্যাকি। টাইগারকে মানুষ করে তোলায় নাকি তাঁর কোনো ভূমিকাই ছিল না। কাজের সূত্রে সর্বক্ষণই ব্যস্ত থাকতেন তিনি। ঘরের সদস্যদের সময় দিতেই পারতেন না। যখন সময় পেতেন তখন টাইগারের সঙ্গে খেলতেন।
তবে এতে অভিনেতার কোনো খেদ নেই। তাঁর কথায়, “আমার খুশি যে টাইগারকে আমি বিগড়ে দিইনি।” তিনি বলেন, টাইগার সম্পূর্ণ অন্য রকম একজন মানুষ। নিজের ফিটনেস ও শিল্পের প্রতি তিনি খুবই নিষ্ঠাবান। ছেলের সঙ্গে কাজের বিষয়ে তেমন কথা বলেন না জ্যাকি। তিনি জানান, যখনি দুজনের দেখা হয় আর পাঁচজন অভিভাবক ও সন্তানের মতোই বন্ধুর মতো মেশেন তাঁরা। আজ টাইগার যে স্থানে রয়েছে সেখানে তাঁকে পৌঁছানোর জন্য অনুরাগীদেরও ধন্যবাদ জানান জ্যাকি।
এর আগে আরবাজ খানের টক শোয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোল নিয়েও কথা বলেছিলেন টাইগার। তাঁর প্রথম ছবি ‘হিরোপন্তি’ মুক্তি পাওয়ার আগে বহু ট্রোল, কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। অনেকে বলেছিলেন হিরো নন, তাঁকে হিরোইন মনে হয়। এমনকি টাইগারকে এও শুনতে হয়েছিল জ্যাকি শ্রফের ছেলে বলে মনেই হয় না তাঁকে। এ বিষয়ে অভিনেতা বলেন, “কেউ ট্রোল করছে মানেই আপনি তার উপর প্রভাব ফেলতে পেরেছেন”।
প্রসঙ্গত, শেষবার প্রভুদেবার ‘রাধে: ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল জ্যাকিকে। ছবিতে মূল চরিত্রে ছিলেন সলমন খান, দিশা পাটানি। OTT প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি। তবে চিত্রনাট্যের জন্য তুমুল ট্রোলও হতে হয়েছিল এই ছবিকে।