বাংলাহান্ট ডেস্ক: জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ (Jacqueline Fernandez) এবং সুকেশ চন্দ্রশেখরের (Sukesh Chandrashekhar) কীর্তি এখন সর্বজনবিদিত। ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মূল পাণ্ডা প্রতারক সুকেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে দীর্ঘদিন সংবাদ শিরোনামে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। কয়েক কোটি টাকার উপহার আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এমনকি আর্থিক প্রতারণা মামলায় জড়িত হিসাবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের চার্জশিটে নাম উঠে আসে জ্যাকলিনের। কিন্তু এবার পালটি খেয়ে সুকেশের দিকেই আঙুল তুললেন তিনি।
সম্প্রতি ২০০ কোটি টাকা প্রতারণা মামলায় দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ কোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন জ্যাকলিন। সেখানেই চর্চিত প্রেমিক তথা প্রতারক সুকেশের বিরুদ্ধে একের পর এক বিষ্ফোরক অভিযোগ আনেন তিনি। এমনকি জ্যাকলিন দাবি করেন, সুকেশের জন্যই তাঁর কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন জ্যাকলিন। গত ১৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে ইডির জবাব চেয়ে পাঠায় আদালত। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন আদালতে দাঁড়িয়ে সুকেশের বিরুদ্ধে কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনেন জ্যাকলিন। তিনি বলেছেন, ‘সুকেশ আমার আবেগ, অনুভূতি নিয়ে খেলেছে। আমার জীবনটাকে নরক বানিয়ে তুলেছে’।
জ্যাকলিন নাকি আরো অভিযোগ তুলেছেন, তাঁকে ভুল পথে চালনা করেছিলেন সুকেশ। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং কেরিয়ার দুটোই ধ্বংস করে দিয়েছেন। আদালতে দাঁড়িয়ে জ্যাকলিন দাবি করেন, নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সুকেশ।
নিজের ডান হাত পিঙ্কি ইরানিকে পাঠিয়েছিলেন তিনি অভিনেত্রীর কাছে। জ্যাকলিনের ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্টকে ভুল বুঝিয়ে জ্যাকলিনের সঙ্গে দেখা করাতে রাজি করিয়ে ফেলেন পিঙ্কি। অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রথম আলাপে নিজেকে তামিলনাড়ুর প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন অভিনেত্রী জয়ললিতার আত্মীয় বলে দাবি করেছিলেন সুকেশ। সেই সঙ্গে তিনি বলেছিলেন, তিনি সান টিভির মালিক। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে জ্যাকলিনকে বেশ কিছু প্রোজেক্টের লোভও দেখিয়েছিলেন সুকেশ।
এরপরেই বিষ্ফোরক দাবি করে জ্যাকলিন জানান, দিনে অন্তত তিনবার ভিডিও কলে কথা বলতেন তাঁরা। সকালে একবার, মাঝখানে যেকোনো সময়ে একবার আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার কথা হত। জ্যাকলিন দাবি করেন, ভিডিও কলে সুকেশকে দেখে তাঁর কখনো মনে হয়নি যে তিনি জেলের মধ্যে থেকে ফোন করছেন। সুকেশ নিজেও কখনো সে কথা বলেননি ।
জ্যাকলিনের দাবি অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে শেষ কথা হয়েছিল ২০২১ সালের ৮ অগাস্ট। পরে তিনি শুনেছিলেন, নিজেকে সরকারি আধিকারিক বলায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সুকেশ। অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন তাঁর অপরাধের কথা জানতে পারেন, তখনি তাঁর আসল নামও প্রকাশ্যে আসে। তার আগে পর্যন্ত নাকি সুকেশের আসল নাম জানতেন না জ্যাকলিন।