বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুঃসময় ফিরল অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (Jacqueline Fernandez) জীবনে। প্রতারক ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার অভিযোগ আগেই উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। একাধিক বার এনফোর্সমেন্স ডিরেক্টরটের জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এবার ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের মামলায় জ্যাকলিনের ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।
২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে আপাতত শ্রীঘরে রয়েছেন মূল অভিযুক্ত ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখর। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন জ্যাকলিন। অভিনেত্রীকে কোটি টাকার উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। তিনি নিজে স্বীকার করেছেন, জ্যাকলিনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকি দুজনের ঘনিষ্ঠ ছবিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
মাঝে কয়েক মাস একটু স্বস্তিতে ছিলেন জ্যাকি। এখন আবারো আইনি জটিলতায় জড়াতে হয়েছে তাঁকে। জানা যাচ্ছে, প্রতারণা মামলার তদন্তের খাতিরে জ্যাকলিনের ৭.২৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তার মধ্যে ৭.১২ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে এবং বাকি ১৫ লক্ষ টাকা সুকেশই এক চিত্রনাট্যকারকে দিয়েছিলেন জ্যাকলিনের হয়ে।
ইডি সূত্রে খবর, এই ২০০ কোটি টাকা র্যানব্যাক্সির মালিক শিবিন্দর সিংয়ের পরিবারের থেকে নিয়েছিলেন সুকেশ। এই শিবিন্দর নিজেও ২০১৯ সালে একটি আর্থিক প্রতারণা চক্রে জেলে ছিলেন। পরে তাঁর স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে ছাড়ানোর কথা দিয়ে সুকেশ ২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ইডির আরো দাবি, ওই টাকা থেকেই নাকি জ্যাকলিনকে ৫.৭১ কোটি টাকার উপহার দিয়েছিলেন সুকেশ। ইডির জেরায় জ্যাকলিন জানিয়েছেন সুকেশ তাঁকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার লোন দিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বোনের জন্য যে আমেরিকায় থাকে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় জ্যাকলিনের ভাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ১৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন সুকেশ।
এখানেই শেষ নয়। প্রতারক ব্যবসায়ীর থেকে আরো বহুমূল্য উপহার হাতিয়েছেন জ্যাকলিন। তার মধ্যে রয়েছে একটি ঘোড়া, তিনটি নামী সংস্থার ডিজাইনার ব্যাগ, একটি ডিজাইনার জিমের পোশাক, নামী সংস্থার একজোড়া জুতো, হীরের কানের দুল এবং বিভিন্ন রঙের পাথরের বানানো একটি ব্রেসলেট। প্রতারক ব্যবসায়ীর থেকে একটি বিলাবহুল গাড়িও নিয়েছিলেন জ্যাকলিন। যদিও পরে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
এই সব কিছুর টাকা প্রতারণার মাধ্যমেই জোগাড় করা হয়েছিল বলে খবর। দুজনের নামের আদ্যক্ষর লেখা একটি হীরের আংটি দিয়ে অভিনেত্রীকে প্রোপোজ করেন সুকেশ। যদিও ব্যবসায়ীর দাবি, জ্যাকলিন ও তাঁর মধ্যে অর্থ সংক্রান্ত লাভ জনক কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি যেসব উপহার তাঁকে দিয়েছেন সেসবই ভালবাসার উপহার বলে জানিয়েছেন সুকেশ।