বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের (sukesh chandrasekhar) সঙ্গে নাম জড়ানোর পর থেকেই দুর্দিন শুরু হয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের (jacqueline fernandez)। দুজনের একাধিক ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অথচ এর আগে ইডির জিজ্ঞাসাবাদে সুকেশের সঙ্গে পরিচিতির কথা বেমালুম গোপন করে গিয়েছিলেন জ্যাকলিন। তিনি দাবি করেছিলেন, এমন নামের কাউকেই নাকি তিনি চেনেন না।
জানিয়ে রাখি, ২০০ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলার মূল পাণ্ডা হিসাবে নাম উঠে আসছে ব্যবসায়ী সুকেশ চন্দ্রশেখরের। আপাতত তিনি জেলবন্দি। এই মামলাতেই বেশ কয়েক মাস আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির সমন পেয়েছিলেন জ্যাকলিন। কিন্তু তিনি অস্বীকার করার পরেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর ছবি ভাইরাল হয়, যা নতুন করে বিপদ ডেকে এনেছে অভিনেত্রীর জন্য।
সম্প্রতি খবর মিলেছে যে শেষমেষ জ্যাকলিন স্বীকার করে নিয়েছেন যে সুকেশের সঙ্গে তাঁর চেনা পরিচয় ছিল। তবে তাঁর দাবি, তিনি জানতেন সুকেশের নাম শেখর রত্ন ভেলা যিনি কিনা সান টিভির মালিক। সূত্রের খবর, ইডির জেরায় জ্যাকলিন জানিয়েছেন সুকেশ তাঁকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার লোন দিয়েছিলেন অভিনেত্রীর বোনের জন্য যে আমেরিকায় থাকে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় জ্যাকলিনের ভাইয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও ১৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন সুকেশ।
এখানেই শেষ নয়। প্রতারক ব্যবসায়ীর থেকে আরো বহুমূল্য উপহার হাতিয়েছেন জ্যাকলিন। তার মধ্যে রয়েছে একটি ঘোড়া, তিনটি নামী সংস্থার ডিজাইনার ব্যাগ, একটি ডিজাইনার জিমের পোশাক, নামী সংস্থার একজোড়া জুতো, হীরের কানের দুল এবং বিভিন্ন রঙের পাথরের বানানো একটি ব্রেসলেট। প্রতারক ব্যবসায়ীর থেকে একটি বিলাবহুল গাড়িও নিয়েছিলেন জ্যাকলিন। যদিও পরে তা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই সব কিছুর টাকা প্রতারণার মাধ্যমেই জোগাড় করা হয়েছিল বলে খবর।
সম্প্রতি বিদেশে যাওয়া আটকানো হয় জ্যাকলিনের। দুবাই যাওয়ার জন্য মুম্বই বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছিলেন জ্যাকলিন। দুবাইয়ে একটি লাইভ শো তে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু মুম্বই ছেড়ে বেরোতেই পারেননি অভিনেত্রী। বিমাবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় তাঁকে। আপাতত দেশ ছেড়ে তাঁকে কোথাও যেতে দেওয়া হবে না বলেই খবর। জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশও জারি করা হয়েছে।