আগে থেকেই ছিল র‌্যাগিং, এখন আরো ভয়ঙ্কর! যাদবপুরের অন্দরের কিসসা ফাঁস করলেন চিরঞ্জিত-পায়েলরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বছর ১৮-র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর (Swapnadeep Kundu) মৃত্যুতে উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। বগুলার বাসিন্দা তরতাজা যুবকের রহস্য মৃত্যুতে আঙুল উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavapur University) ‘র‌্যাগিং কালচার’ এর দিকে। সম্মানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নিয়ে স্নাতক পড়তে আসা, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা দীপ কেন দুদিনের মধ্যেই নিভে গেল তা নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন। যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্র এবং বর্তমান পড়ুয়াদের তোলা হচ্ছে কাঠগড়ায়। অভিযোগ উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থা এবং তার মাথায় বসে থাকা কর্তাব্যক্তিদের দায়িত্ব নিয়েও।

স্বপ্নদীপের মৃত্যু ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে চলা র‌্যাগিং কাণ্ডের ভয়াবহতা নিয়ে মুখ খুলছেন বর্তমান এবং প্রাক্তন পড়ুয়ারা। টলিউডেও কিন্তু রয়েছেন যাদবপুরের প্রাক্তনীরা। এমন একাধিক কৃতী পড়ুয়ারা রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের, যারা এখন অভিনয় ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের কেরিয়ার গড়েছেন। এই তালিকায় অন্যতম নাম অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। Jadavapur university ragging case by chiranjit chakraborty, payel sarkar

যাদবপুরের আর্কিটেকচারের ছাত্র ছিলেন চিরঞ্জিত। নিজের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে কালি ছেটায় মর্মাহত তিনি। একইসঙ্গে এ ধরণের মর্মান্তিক ঘটনায় যাদবপুরের নাম উঠে আসায় ক্ষুব্ধ প্রাক্তনী অভিনেতা। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। এই ধরণের ঘটনা সেখানে ঘটা খুবই নিন্দনীয় ব্যাপার।

আরও পড়ুন: একটা সিরিয়াল করেই হিট, ধৈর্য্য বলে কিছু নেই, নাম না করে কাকে বিঁধলেন রচনা!

চিরঞ্জিত আরো বলেন, অতীতের সুনামকে ধরে চললে হবে না। যে ঘটনাটা ঘটেছে তার দায় কর্তৃপক্ষ কোনো ভাবেই এড়াতে পারে না। টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার যাদবপুরে পড়েছেন ইতিহাস নিয়ে। সেখানে যে র‌্যাগিং হয় তা স্বীকার করে নিয়েই তিনি বলেন, বিষয়টা নতুন নয়। তিনি নিজে এর শিকার না হলেও এমন অনেক ঘটনাই তাঁর কানে এসেছে। এখন বিষয়টা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ পায়েলের।

আরও পড়ুন: মহানায়িকা বলে কথা! সায়ন্তিকার জন্মদিনে বিশেষ উপহার এল ‘দিদিমণি’ মমতার তরফে

অত্যাচার আর ইয়ার্কির মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি, মন্তব্য করেন অভিনেত্রী। কর্তৃপক্ষকে কড়া নিশানায় রেখে তিনি বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা আর না ঘটে। শোলাঙ্কি অবশ্য র‌্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে নিশানা করার বিপক্ষে।

তিনি জানান, তাঁদের সময়ে অ্যান্টি র‌্যাগিং সেল ছিল। তাই এই ধরণের কোনো অভিজ্ঞতা তাঁদের হয়নি। তাঁর কথায়, র‌্যাগিং দিয়ে জুনিয়রদের সঙ্গে সম্পর্ক ‘সহজ’ করার বদলে আক্ষরিক অর্থেই তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর করে তোলা উচিত সিনিয়রদের।

অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের আবার যাদবপুর নিয়ে অন্য রকম অভিজ্ঞতা। ২০১৩ সালে দর্শন নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন তিনি। অভিনেত্রী জানান, র‌্যাগিং তো দূরের কথা, বরং সিনিয়রদের থেকে তাঁরা সাহায্যই পেয়েছিলেন। এখনকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাই নিজের চেনা ক্যাম্পাসকে মেলাতে কষ্ট হচ্ছে মধুমিতার।

ad

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর