বাংলা হান্ট ডেস্ক: দেখতে দেখতে প্রায় বছর ঘুরতে চলল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফেও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সিনিয়র (Senior) দাদা’দের রাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছিল ওই ছাত্রের। আর এবার এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আরও এক কড়া পদক্ষেপ নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যার ফলে হোস্টেলে (Hostel) থাকা সিনিয়র দাদাদের দাদাগিরি এবার পুরোপুরি বন্ধ হতে চলেছে। যার ফলে ইউনিভার্সিটি থেকে পাস আউট হওয়ার পরেও বছরের পর বছর ধরে তারা আর হোস্টেল দখল করে থাকতে পারবে না. বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী পড়াশোনা শেষ হওয়ার সাত দিনের মধ্যেই ব্যা পত্র গুছিয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হবে তাদের।
ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশিকা-ও জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রায় এক এক বছর আগে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে হোস্টেলের সিনিয়র ছাত্রদের দাদাগিরি ঘটনা। সেসময় বারবার হোস্টেলের প্রাক্তন ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ওঠায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিনিয়রদের পড়াশুনা শেষ করে জোট তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি চলে যেতে বলেছিল।
আরও পড়ুন: চুক্তি ভেঙেছিল পাকিস্তান! কার্গিল যুদ্ধ নিয়ে ২৫ বছর পর বোমা ফাটালেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী
কিন্তু তখন মুখের কথায় কাজ না হওয়ায় এবার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েই নতুন বর্ষ শুরু হওয়ার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, এবার থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কাজ শেষ হলে বড়জোর এক মাস,আর পড়াশোনা শেষ হলে সাত দিনের মধ্যেই পাততাড়ি গুটিয়ে ছাড়তে হবে হোস্টেল।
এর বেশি কেউ এই হোস্টেল দখল করে থাকতে পারবে না বলে স্পস জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও হোস্টেল দখল করে রাখার এই ঘটনা শুধু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েই নয় একই অভিযোগ রয়েছে রাজ্যের অন্যান্য আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেও। যার মধ্যে অন্যতম বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।