বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রায় এক বছর আগে ব়্যাগিংয়ের (Ragging) কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর (First Year Student Death) ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল গোটা রাজ্য। নানান চাপানউতোরের পর অবশেষে শাস্তি (Punishment) পেতে চলেছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ৩৮ জন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, প্রায় ৫ মাস আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলেও পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৯ মাস পার হওয়ার পর শাস্তি পেতে চলেছে অভিযুক্তরা।
এদিন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি অবশেষে মেনেই নিলেন র্যাগিংয়ের জেরেই ছাত্রমৃত্যু ঘটেছিল। ইতিপূর্বে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু তৎকালীন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সরিয়ে দেওয়ায় এই সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর গত ২২ এপ্রিল অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদের দায়িত্ব নিয়েছেন ভাস্কর গুপ্ত। আর তারপরেই এই শুক্রবার কর্মসমিতির বৈঠকেই সিলমোহর পড়ে এই শাস্তির সিদ্ধান্তে। এই শাস্তির বিষয়ে ভাস্কর গুপ্ত বলেছেন , ‘ওই ছাত্রের জন্য আমরা কিছুই করতে পারিনি। এখন অন্তত কিছু করা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। শাস্তির সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। দেশের আইনকানুন তো আমাদের হাতে নেই। আমাদের পক্ষ থেকে যা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সবই গ্রহণ করা হয়েছে।’
জানা গিয়েছে এদিনের সিদ্ধান্তে ঠিক করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট ও তার ভিত্তিতে আন্টি র্যাগিং স্কোয়াডের সুপারিশ অনুযায়ী এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা হল, সত্যব্রত রায়, মহম্মদ আরিফ, মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্ত। এবার ৪ পড়ুয়াকে পাকাপাকিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার ‘মিথ্যে’ অভিযোগ! বিপাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, কড়া ‘শাস্তি’র সুপারিশ!
এছাড়াও ৫ জন ছাত্রকে ৪টি সেম তথা দুই বছরের জন্য সাসপেন্ড ও হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। প্রায় ২৫ জন ছাত্রকে ১টি সেম তথা ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে এবং হস্টেল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে।অন্যদিকে রুদ্র চট্টোপাধ্যায় নামে পড়ুয়াকেও এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে।
এভাবে এই বিপুল পরিমাণ ছাত্রকে সাসপেন্ড এবং বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তে আর কোনও বাধা রইল না। এছাড়া অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই জেলে রয়েছে। এই নিয়ে ভোটের মরশুমেরও শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা।