বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মুহূর্তে উত্তাল যাদবপুর (Jadavpur) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চত্ত্বর। গতকাল অৰ্থাৎ শনিবার যখন বাম ও অতিবাম সংগঠনগুলির প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ঠিক তখনই ইন্দ্রানুজ রায় নাম যাদবপুরেরই এক পড়ুয়ার সাথে ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
অভিযোগ, গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি চাপা পড়েছেন ওই পড়ুয়া। তারপরই ক্রমশ আরও চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। এরপর গুরুতর আহত ওই পড়ুয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে ওই পড়ুয়ার সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে বাঁ চোখ ও মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ধরা পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে কীভাবে চাপা পড়লেন যাদবপুরের (Jadavpur) পড়ুয়া?
হাসপাতাল সূত্রে খবর ভীড়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে গাড়ির নীচে পড়ে যাওয়ার জেরেই সম্ভবত এতটা ভয়ঙ্কর ভাবে চোট পেয়েছেন যুবক। খবর মিলতেই তাঁকে দেখতে ছুটে এসেছে তাঁর বাবাও। প্রশ্ন হল হঠাৎ তিনি শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির নীচে পড়লেন কীভাবে? জানালেন পড়ুয়া নিজেই।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধুন্ধুমার! এক্স হ্যান্ডলে ফুঁসে উঠলেন কুণাল ঘোষ, লিখলেন, গায়ে হাত…
হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই শিক্ষামন্ত্রীর ‘গাড়ি চাপা’ পড়া প্রসঙ্গে এদিন ইন্দ্রানুজ বললেন, ‘উনি ওয়েবকুপার বার্ষিকী বৈঠকে আসলেও, ছাত্রদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর সেই সূত্রেই সবাই যখন ব্রাত্য বসুকে বৈঠকে বসার জন্য ঘিরে ধরে, তখন রুখে দাঁড়ায় তৃণমূলের ছাত্র নেতারা। তারাই বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে শিক্ষামন্ত্রীকে তড়িঘড়ি তাঁর গাড়িতে তুলে দেয়।’
এরপরেই ঘটে যায় বিপত্তি। ইন্দ্রানুজের কথায়, ‘শিক্ষামন্ত্রী গাড়িতে ওঠার পরেই গতি বাড়িয়ে দেয় চালক। অনেকবার তাঁকে থামতে বলেছিলাম আমরা, কিন্তু উল্টে ওনার গাড়ির গতিবেগ আরও বেড়ে যায়। ওই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে ছিলেন এক ঝাঁক পড়ুয়া।’ ইন্দ্রানুজ জানান ওই ঠেলাঠেলিতেই আচমকা পড়ে যান তিনি। আর তারপরই ঘটে যায় যাদবপুরের (Jadavpur) ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পড়ুয়ার দাবি, ওই সময় নাকি প্রায় ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিবেগে চলছিল শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি।