যাদবপুরে এবার র‌্যাগিংয়ের শিকার খোদ উপাচার্য! অরাজকতা চলছে, বোমা ফাটালেন বুদ্ধদেব

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বিস্ফোরক খোদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ (Buddhadev Sau)। দায়িত্ব নেওয়ার ৩৪ দিনের মাথায় বীতশ্রদ্ধ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) এই নয়া উপাচার্য। শনিবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। পড়ুয়াদের একাংশের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, কোনও সিদ্ধান্তই কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না। আর এরপরই বুদ্ধদেববাবু বলে উঠলেন, তিনিও র‌্যাগিংয়ের শিকার!

শনিবার বুদ্ধদেব বলেন, ‘কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না‌। কোনও নিয়ম কার্যকর করতে গেলেই বাধা দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের ভালোর জন্য কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা কার্যকর করতে দেওয়া হচ্ছে না। যখন তখন আটকে রাখছে আমাদের। কোথাও বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। আমিও র‌্যাগিংয়ের শিকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এখানে র‌্যাগিংয়ের শিকার। অরাজকতা চলছে, গণতন্ত্রের (Democracy) কোনও জায়গা নেই।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাল্টা দাবি, উপাচার্যই ক্যাম্পাস (Campus) সম্পর্কে কোনও খোঁজখবর রাখেন না। শুধু তাই নয়, উপাচার্য কারওর সঙ্গে পরামর্শ করছেন না। কারওর সঙ্গে কথাও বলছেন না। শুধু ঘনিষ্ঠ মহলের কথা শুনে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর্টস ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্ট ইউনিয়নের এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘কেউ উপাচার্যকে বাধা দিচ্ছে না। অপমানও করা হয়নি বরং উনি ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। দেখা করতে চাইলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হচ্ছে, তারপর সময় চেয়ে কথা বলতে গেলে উনি কথা বলছেন না। এভাবে চলতে পারে না।’

যদিও ওই ছাত্রনেতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বুদ্ধদেব। তিনি বলেন, ‘১৩ হাজারের মধ্যে কিছু সংখ্যক ছাত্র বারবার এসে অহেতুক ঝামেলা করছে। যেমন অল স্টেকহোল্ডার… আগের উপাচার্য নাকি করে দিয়ে গিয়েছেন, সেটাই নিয়ম। অথচ আমি আমাদের ল’ সেল, রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। কেউ অল স্টেক হোল্ডারের কোনও স্টাটিউটারি টার্ম দেখাতে পারেননি।’

jadavpur

এই ঘটনা নিয়ে তেমনভাবে মন্তব্য করতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। ওঁকে যদি কাজে বাধা দেওয়া হয়, উনি এই কাজ করছেন কেন? এটা উপাচার্য এবং আচার্যের বিষয়। আমি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’

Monojit

সম্পর্কিত খবর