বাংলাহান্ট ডেস্ক : কালী পুজো শেষ। এবার অপেক্ষা জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja)। জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগর। গোটা বিশ্বে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সুখ্যাতি ছড়িয়ে। চন্দননগরের নজরকাড়া লাইটিং অত্যন্ত জনপ্রিয় দর্শনার্থীদের মধ্যে। তবে এর পাশাপাশি চন্দননগরের সুবিশাল জগদ্ধাত্রী প্রতিমাও কৌতুহলের অন্যতম কারণ।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja) প্রতিমার উচ্চতা
বর্তমানে চন্দননগরে (Chandannagar) প্রচুর জগদ্ধাত্রী পুজো হয়ে থাকে। তার মধ্যে কিছু রয়েছে বনেদি বাড়ির পুজো, আবার কিছু বারোয়ারি পুজো। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার উচ্চতা কোনোটার ২৬ ফুট, আবার কোনোটার ২৮ ফুট! তবে এত বিশালাকার প্রতিমার কারণ নিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মত। ইতিহাসের অধ্যাপক বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগে প্রায় চন্দননগরের সব বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো হত।
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁর দেওয়ান দাতারাম সুরকে জগদ্ধাত্রী পুজো করার পরামর্শ দেন। তারপর দেখাদেখি অনেক বিত্তশালী পরিবার জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja) আরম্ভ করে। একে অপরকে টক্কর দেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয় প্রতিমার উচ্চতা নিয়ে। কার প্রতিমা কত বড় হবে সেই নিয়ে চলত প্রতিযোগিতা। তখন থেকেই চন্দননগরে সুবিশাল জগদ্ধাত্রী প্রতিমার প্রচলন রয়েছে।
আরোও পড়ুন : ধামাকাদার অফার! জলের দরে Jio Laptop! ১ বছর আগে লঞ্চ করলেও এখন যা দাম….না কিনলেই লস
লালবাগান জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কৌস্তুভ দত্ত জানান, ‘আমাদের প্রতিমার উচ্চতা সাড়ে ২৫ ফুট। বড় প্রতিমার প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ অনেক বেশি থাকে।’ আবার জ্যোতির মোড় তেমাথা শিব মন্দির জগদ্ধাত্রী পুজো সমিতির সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু দে’র কথায়, ‘প্রতিমার এই উচ্চতা চন্দননগরের ঐতিহ্য। বহু বছর ধরেই এই ধরনের বড় আকারের প্রতিমাই হয়ে আসছে জগদ্ধাত্রী পুজোয়।’
চন্দননগর বড়বাজার জগদ্ধাত্রী পুজোর কমিটির সদস্য সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রতিমার উচ্চতা নিয়ে বলেছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বড় আকারের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দেখে এসেছি। আমাদের মনে হয় যেহেতু দেবী গোটা জগৎকে ধারণ করেন তাই তাঁর আকার বড় করা হয়। চালচিত্র নিয়ে আমাদের প্রতিমার উচ্চতা প্রায় ২৪ থেকে ২৫ ফুট।’