মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেওয়ার পরও মেলেনি স্থায়ী চাকরি, মমতার নাম করে হাইকোর্টে মামলা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেষ পর্যন্ত মামলাই করলেন যুবক। সে করতেই পারেন। ভারতের নাগরিক হওয়ার দরুন এটা তাঁর আইনি অধিকার। কিন্তু, সমস্যা হলো যুবক মামলা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) বিরুদ্ধেই। এখন সমস্যা হলো হঠাৎ করে তিনি মামলা করে গেলেন কেন? যুবকের দাবি, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীই নাকি তাঁকে একবার চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন। তাতে একটি অস্থায়ী চাকরিও পান তিনি। কিন্তু সেই কাজ করে তিনি বেতনই পাচ্ছেন না। তাই, স্থায়ী চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই উচ্চআদালতে মামলা করে বসলেন ঝাড়গ্রামের বিশেষভাবে সক্ষম যুবক জগন্নাথ মাহাত।  ওই মামলায় পার্টি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। চলতি সপ্তাহেই ওই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

কে এই জগন্নাথ? 

ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ও একশো শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম জগন্নাথ মাহাত ২০০৯ সালে ভূগোল বিষয়ে স্নাতক হন। কলেজের তরফে তাকে স্বর্ণপদকও দেওয়া হয়। শুধু তাই না, জগন্নাথকে একটি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে অনন্য সম্মানেও ভূষিত করা হয়।

কেন হঠাৎ মামলা করে বসলেন জগন্নাথ?

২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল উৎসবের উদ্বোধন সেরে ফেরার পথে জগন্নাথকে গাড়রো বাসস্ট্যান্ডে দেখেই দাঁড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ঘটনার কথা স্মরণ করে জগন্নাথ বলেন, সেদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আমার কাছ থেকে সমস্ত বিষয় শোনেন। তিনি আমাকে একটা চাকরির আশ্বাসও দেন। কিন্তু আশ্বাসই সার। চাকরির দেখা পেলেন না তিনি। অগত্যা ২০১৫ সালের মে মাসে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে চাকরির কথা বলেন তিনি। ওই বছরেই জুন মাসে জগন্নাথকে জেলাশাসক ডেকে পাঠান। একটি অস্থায়ী চাকরির ব্যবস্থাও করে দেন তিনি। চলতি বছরের মার্চ মাসে মহকুমা শাসকের অফিস থেকে তাকে জেলা শাসকের অফিসে স্থানান্তর করা হয়। তারপর থেকেই আর বেতন পাচ্ছেন না জগন্নাথ।

এদিন নিজেই কলকাতা হাইকোর্টে এসে স্থায়ী চাকরির দাবিতে মামলা করেন জগন্নাথ মাহাতো। তাঁর আইনজীবী শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকেই মামলার পার্টি করা হয়েছে। সঙ্গে আবেদন জানানো হয়েছে স্থায়ী চাকরিরও।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর