বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিঘার জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) উদ্বোধনের পর প্রথম রথযাত্রা। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তোরজোড়। তবে রথের আগেই রাজ্যবাসীর বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে প্রসাদ। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করে একথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতো প্রস্তুতি চলছিল। এবার জানা গেল, এই নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন।
জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) প্রসাদ হিসেবে কী কী দেওয়া হবে?
আগামী ২৭ জুন রথযাত্রা। তার আগেই রাজ্যের বাড়ি বাড়ি প্রসাদ পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে যদি সম্ভব না হয়, তাহলে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে তথা উল্টোরথের আগে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই হবে বলে স্থির করা হয়েছে। নবান্নে (Nabanna) সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির সঙ্গে ইন্দ্রনীলের বৈঠকে একথা ঠিক হয়েছে। নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর।
জানা যাচ্ছে, প্রসাদ বিতরণের প্রক্রিয়া সুষ্টুভাবে সেরে ফেলার জন্য রাজ্যের সকল এসডিও ও বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন থেকে বলা হয়েছে, কলকাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি ও বাক্স রাজ্যের নানান জেলায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হবে পেড়া ও গজা। এর জন্য বিডিও ও এসডিওদের নিজ নিজ এলাকার ভালো মিষ্টির দোকানের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘প্রতিশ্রুতি রাখেনি সরকার’! ফের নবান্ন অভিযানের ডাক, অস্বস্তিতে রাজ্য
আগামী ১২ জুন থেকে রাজ্যের নানান জেলায় জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple Digha) ছবি ও বাক্স পাঠানোর কাজ শুরু হবে। ১৭ জুন থেকে শুরু হয়ে যাবে প্রসাদ বিতরণ। গজা ও পেড়া কী মাপের দেওয়া হবে সেটাও নবান্ন থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দু’টির মূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। এর পাশাপাশি প্রসাদের প্যাকেজিং ও বিতরণের জন্য আলাদা টাকা ধরা হয়েছে।
খাদ্য দপ্তরের ‘দুয়ারে রেশন’এর (Duare Ration) মাধ্যমে প্রসাদের বাক্স বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। এই ব্যবস্থার অধীন যারা নেই, তাঁদের বাড়িতে কীভাবে প্রসাদ পাঠানো হবে সেই পদ্ধতি আগে থেকে বিডিওদের ঠিক করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে বিধাননগর পুরসভা এবং এনকেডিএ অঞ্চলে যাদের বাড়ি, তাঁদের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করবে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) দ্বার উন্মোচন হয়েছে। এরপর থেকেই সেখানে উপচে পড়েছে দর্শনার্থীদের ভিড়। তবে গোটা রাজ্যে এমনও অনেক মানুষ আছেন যারা এখনও মন্দির দর্শনে যেতে পারেননি। তাঁরা যাতে বাড়ি বসেই প্রসাদ পেয়ে যান, এবার সেটারই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য।