চূড়া থেকে ধ্বজা, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে লুকিয়ে রয়েছে এই ৭ রহস্য! এখনো হয়নি সমাধান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভ্রমণ প্রিয় বাঙালি। মাঝেমধ্যে একটু সুযোগ পেলেই এদিক ওদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন বাঙালিরা। বরাবরই তাদের তালিকায় থাকে দিপুদা। অর্থাৎ দিঘা, পুরি, দার্জিলিং। পুরীতে (Puri) ঘুরতে যাওয়ার বাঙালি সব থেকে বড় উদ্দেশ্য হলো সমুদ্র দেখা এবং জগন্নাথ দেবের মন্দির (Jagganath Temple) দর্শন করা। এই জগন্নাথ মন্দিরকে ঘিরে বহু রহস্য রয়েছে। যার উত্তর আজও দিতে পারেননি বৈজ্ঞানিকরা।

আপনি যদি কখন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের যান তাহলে দেখবেন মন্দিরের চূড়ায় রয়েছে একটি ধ্বজা। যেটি সাধারণত বাতাসের গতিপথের বিপরীত দিকে ওরে। স্বাভাবিকভাবেই আজও এই ঘটনার কোন বৈজ্ঞানিক যুক্তি মেলেনি। ভক্তদের বিশ্বাস ভগবানের ক্ষমতাশীল শক্তির জেরেই হয়ে থাকে এমন ঘটনা। মন্দিরের ধ্বজা বদলানোর জন্য প্রতিদিন একজন পুরোহিত ওঠেন মন্দিরের চুড়ায়। যা প্রায় ৪৫ তলা বহুতলের সমান। ১৮০০ বছর ধরেই চলে আসছে এই প্রথা। যদি একদিনও এই প্রথা নড়চড় হয় তাহলে আগামী ১৮ বছরের জন্য বন্ধ করে দিতে হবে মন্দিরের দরজা।

Puri Jagganath Temple

মন্দিরের চূড়ায় রয়েছে একটি সুদর্শন চক্র। যা মূলত ২০ ফুট উঁচু এবং এর যার ওজন এক টন। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, আপনি পুরীর যে কোন প্রান্ত থেকে এটি দেখতে পাবেন। তবে এই চক্রটি আসলে রহস্যেমোড়া। আপনি যে কোন প্রান্ত থেকে এই চক্রটি দেখলে আপনার মনে হবে সেটা আপনার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। যদিও কেন এমনটা হয় তার উত্তর আজও দিতে পারেননি বৈজ্ঞানিকরা।

মন্দিরের উপর দিয়ে কখনই যায় না কোন বিমান কিংবা পাখি। ভারতের কোন মন্দিরের ক্ষেত্রেই কিন্তু এই বৈশিষ্ট্যটি দেখা যায় না। এক কথায় বলতে গেলে জায়গাটি নো ফ্লাইজোন। যদিও কোন সরকার কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কিন্তু ঘোষণা করা হয়নি এই নিয়ম। তবে ভক্তদের বিশ্বাস এর পেছনে রয়েছে দৈবিক শক্তি। এই মন্দিরের কাঠামোটা এমন ভাবে তৈরি যা দেখলে চমকে যাবেন। খুব ভালো করে লক্ষ করলে দেখবেন যেকোনো মন্দিরের ছায়া দেখা যায় দিনের বেলায় কিন্তু এই মন্দিরের ছায়া আপনি দেখতে পাবেন না।

মন্দিরে প্রবেশের মূল দরজাকে বলা হয় সিংহদরজা। আপনি যখন এই দরজা দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন তখন শুনতে পাবেন ঢেউয়ের আওয়াজ। তবে একবার সিংহ দরজা অতিক্রম করে গেলে সেই আওয়াজ আর শুনতে পাবেন না। এমনকি আপনি যদি সিংহ দরজার দিকে পুনরায় ফিরে আসতে চান তাহলেও শুনতে পাবেন না এই আওয়াজ।

আপনি বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চলে গেলেই দেখতে পাবেন দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে আসছে বাতাস আর সন্ধ্যায় স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে যাচ্ছে বাতাস তবে পুরীর ক্ষেত্রে কিন্তু এটা একেবারে বিপরীত।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো জগন্নাথ মন্দিরে নিত্যদিন ভিড় জমান ভক্তরা তবে কখনও সেই সংখ্যাটা থাকে ২০০০ তো কখনও আবার ২০০০০। তবে জানেন কি সারা বছর ধরে মন্দিরে কিন্তু একই পরিমাণে প্রসাদ রান্না করা হয়। অথচ কোনদিন নষ্ট হয় না ভগবানের প্রসাদ এমনকি কমও পড়ে না। রহস্যেমোড়া পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের এই সমস্ত রহস্য আজও সমাধান করতে পারেননি কোন বিজ্ঞানী। আর সে কারণেই ভক্তদের বিশ্বাস মন্দিরে যা কিছু ঘটে চলেছে সবটাই ঘটছে ভগবানের জন্যই।

additiya

সম্পর্কিত খবর