বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও বিতর্কের মুখে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার রাজ্যসভার অধ্যক্ষকে রীতিমতো ‘অসম্মান’ করে বসলেন তিনি। যা নিয়ে এত সমস্যার সূত্রপাত সেই বাবুল সুপ্রিয়র শপথ পাঠের দায়িত্বও দিলেন উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।
দিন দুয়েক আগেই শপথ গ্রহণে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যপালকে বিঁধেছিলেন বালিগঞ্জ বিধানসভার বিজয়ী তৃতীয় প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ট্যুইট করে বাবুল সুপ্রিয় লেখেন, ‘বিধায়ক হিসাবে আমার শপথ গ্রহণে বিলম্বে আমি অত্যন্ত হতাশ। বালিগঞ্জ আমাকে তাদের জনপ্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত করার পর ইতিমধ্যেই দু-সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। আমার মনে হয় এমনটা ভাবার কারণ আছে যে সম্মানীয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আমার প্রতি আর একটু দয়াপরবশ হতে পারতেন। ধৈর্য ধরে ধৈর্যের অনুশীলন করছি এখন।’
এবার এই সমস্যার সমাধান হলেও তৈরি হল আরও বড় জট। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় শনিবার ট্যুইটারে লেখেন, ‘ভারতের সংবিধানের ১৮৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আমার ক্ষমতার ভিত্তিতে, উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি দায়িত্ব দিলাম। তাঁর কাছ থেকেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ১৬১ নম্বর বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী বাবুল সুপ্রিয় শপথগ্রহণ করবেন।’
রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তে যে মোটেই রাজি বিয় সরকার তা বলাই বাহুল্য। বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, রাজ্যপালের এহেন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আপত্তি জানানো হবে রাজ্য সরকারের তরফে। অধ্যক্ষের উপস্থিতি সত্ত্বেও শপথ গ্রহণের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়ায় তা নিতে অস্বীকার করেছেন উপাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘স্পিকার থাকতে ডেপুটি স্পিকারের বিধায়কের শপথবাক্য পাঠ নজিরবিহীন। এটা করা মানে স্পিকারকে অপমানিত করা। বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করাতে সম্মত নই। রাজ্যপালের তরফ থেকে কোনও চিঠি পেলে আমি এই দায়িত্ব প্রত্যাখ্যান করব। স্পিকারকে অসম্মান করতে পারব না।’
গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর পেরিয়েছে দু সপ্তাহ। সামনেই ইদের ছুটি। তার আগেই তড়িঘড়ি বাবুল সুপ্রিয়র শপথ গ্রহণ সেরে নিতে চাইছে তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ নেয় বিধানসভা তাই এখন দেখার।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার