বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আমি ছাড়বো না’, গত ২৮ শে জুন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) প্রতিনিধি দলের নিকট ঠিক এহেন ভাষাতেই মন্তব্য প্রকাশ করেছিলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdip Dhankar) আর তার ঠিক এক মাস কাটতে না কাটতেই বর্তমানে ইডি (ED) হেফাজত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ (Partha Chatterjee)। ফলে রাজ্যপালের বক্তব্য কি কেবল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, নাকি এর পিছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে, সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্তমানে শুরু হয়ে গিয়েছে বিস্তর জল্পনা! তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জাগো বাংলা’ মুখপত্রে এ সম্পর্কিত একটি খবর প্রকাশ পাওয়ার পরে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলায়।
সূত্রের খবর, গত ২৮ শে জুন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তৃণমূল কংগ্রেস দলের এক প্রতিনিধি দল। সেখানে কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে ব্রাত্য বসু এবং শশী পাঁজারা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। আর তখনই নাকি ধনকড় জানান, “শাসক দলের একাধিক নেতা-নেত্রীরা আমার বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় আমার স্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিল। যে কোনদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নেই, তার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা উচিত নয়। এ কারণে আমি পার্থকে কিছুতেই ছাড়বো না।” এছাড়াও সেদিন তিনি বলেন, “আমার কাছে কিছু প্রসেকিউশনের প্রেয়ার ওয়েটিং লিস্টে রয়ে গিয়েছে।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, এরপরে জগদীপ ধনকড়কে একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও তিনি নিজের দাবিতে অনড় থাকেন। এদিন সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে জাগো বাংলায়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, “এটা কাকতালীয় হতে পারে। আমরা একবারও বলছি না যে, এ ঘটনার পেছনে প্রাক্তন রাজ্যপাল রয়েছেন কিংবা তাঁর নির্দেশে এ সকল কিছু হয়েছে। তবে এ ঘটনা যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলা যায়।” ফলে স্বাভাবিকভাবেই এসএসসি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ইডি হেফাজতে থাকাকালীন ধনকড়ের এহেন মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করলো বলেই মনে করা হচ্ছে।