বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি আর সিপিএম মিলে যৌথ উদ্যোগে তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করে চলেছে! এবার ভয়ঙ্কর অভিযোগ করা হলো তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপত্র জাগো বাংলায় (Jago Bangla)। এক্ষেত্রে প্রাক্তন সিপিএম (Cpim) বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের (Ashok Bhattacharya) সঙ্গে বিজেপি নেতা রাজু বিস্তার (Raju Bista) বৈঠকের কথা তুলে ধরার মাধ্যমে এহেন অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছে শাসক দল।
ঘটনার সূত্রপাত কোথায়? বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, বাংলা এবং বিহারের কয়েকটি অংশ নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গড়ে তোলার চক্রান্ত করে চলেছে বিজেপি। সরকার এক্ষেত্রে ইচ্ছা করেই বাংলাকে ভাগ করে দিতে চাইছে। তারা বাংলায় মমতা সরকারকে পরাজিত করতে না পেরে এই ধরনের চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীরা।
এবার রাজ্য রাজনীতিতে নয়া একটি অভিযোগ নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, যেখানে দাবি করা হয়েছে, তৃণমূল সরকারকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে বিজেপির হাত ধরেছে সিপিএম। এক্ষেত্রে সম্প্রতি সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিজেপি নেতা রাজু বিস্তা এবং শঙ্কর ঘোষের বৈঠকের কথা তুলে ধরা হয়েছে। দাবি, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে সরিয়ে ফেলার চক্রান্ত করা হয়ে চলেছে। আর এক্ষেত্রে বিজেপির তরফ থেকে সিপিএমকেও আহ্বান করা হয়েছে। সেই কারণেই বর্তমানে সিপিএম এবং বিজেপি নেতাদের মধ্যে সাক্ষাৎ করা হয়ে চলেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে পৌঁছে যান বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তা। এ ক্ষেত্রে এটিকে ‘সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ’ বলে দাবি করেন দুজনেই। তবে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের তরফ থেকে এটিকে সিপিএম এবং বিজেপির গোপন আঁতাত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিন এ প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “আসলে মাথা খারাপ হয়ে গেলে মানুষ এরকম ভুলভাল বকে। বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল চিরকাল চক্রান্ত করে এসেছে। ওরা নিজেরা যা করে, আয়নার সামনে দাঁড়ালে সেটাই দেখে আর সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপানো শুরু করে। এর উত্তর দেওয়ার কোন রকম মানে হয় না। ওরা নিজেদের চেহারা দেখে ভয় পাক, সেটাই প্রয়োজন।”
সুজনবাবু আরো বলেন, “কে কোথায় বৈঠক করছে, তা খোঁজ নেওয়া ছাড়া কি আমাদের আর কোনরকম কাজ নেই? মানুষের সাথে মানুষের সাক্ষাৎ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অসুবিধার কিছু নেই। আসলে সমস্ত ঘটনার পেছনে চক্রান্ত দেখা তৃণমূল নেত্রীর স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
অপরদিকে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাইরে থেকে কেউ কোনো রকম চক্রান্ত করছে না কিংবা করার প্রয়োজন নেই। তৃণমূল দলের অন্দরে এতই চক্রান্ত বেড়ে চলেছে, তা ওরা নিজেরা সামলাতে পারছে না। তাই বাইরে থেকে কারোর কোনরকম চক্রান্ত করার দরকার নেই। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে আর ওদের দুর্নীতির প্রতিবাদ আমরা করবোই।”