বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন থেকে নিয়োগ, একাধিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের বহু হেভিওয়েটের। গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের একাধিক দাপুটে নেতা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। রেশন দুর্নীতি মামলায় গত বছর অক্টোবর মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই জীবন কাটছে তাঁর। এবার তাঁকে নিয়েই সামনে আসছে নয়া খবর!
সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে জেলবন্দি জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick)!
গত বছর অক্টোবর মাস থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালু। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও খাদ্য দফতরের অধীন পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ নিগমের চেয়ারম্যান পদে রয়ে গিয়েছেন তিনি। রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতার, এখনও জেলবন্দি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই পদে বালু রয়ে গিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রিপোর্ট বলছে, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick) এই পদে বসিয়েছিলেন। ২০১১ সালে পালাবদলের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। এরপর তাঁর মন্ত্রীসভায় খাদ্য দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। অতীত ঘাঁটলে দেখা যাবে, সাধারণত রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীই পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলান। ২০১২-২০১৬ অবধি বালু এই পদে আসীন ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ অতীত! রাতারাতি পাল্টে গেল নাম! মুখ্যমন্ত্রীর এক ঘোষণায় তোলপাড়
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একজন অভিজ্ঞ আমলাকে নিগমের চেয়ারম্যান করে রাজ্য (Government of West Bengal)। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বর মাস অবধি তিনিই ওই দায়িত্ব সামলেছিলেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর জ্যোতিপ্রিয়কে বন দফতরের দায়িত্ব দেন মমতা এবং রাজ্যের নতুন খাদ্যমন্ত্রী হন রথীন ঘোষ। যদিও তাঁকে ওই নিগমের চেয়ারম্যান করা হয়নি। বরং ২০২১ সালের নভেম্বর মাস থেকে জ্যোতিপ্রিয়কেই ফের ওই পদে বসানো হয়। এরপর থেকে তিনিই ওই পদে আছেন।
এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই খাদ্য দফতরের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট দফতরের কোনও কর্তা মন্তব্য করতে চাননি। তবে নবান্নের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই নিগম মূলত কৃষকদের থেকে ধান কেনার কাজ করে। নিগমের সরকারি আধিকারিকরাই যাবতীয় কাজকর্ম দেখেন। চেয়ারম্যানের তেমন কোনও ভূমিকা থাকে না। ফলে জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) ওই পদে থাকলেও তাঁর পক্ষে জেল থেকে ‘কাজ’ কিংবা ‘দায়িত্ব পালন’ করা সম্ভব নয়।