বাংলাহান্ট ডেস্ক: বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর বহু এলাকায় ষাঁড়-মানুষের লড়াই হয়। আর তার জেরেই প্রাণ হারান অন্তত ৭ জন। আহতের সংখ্যাও ৪০০ পেরিয়েছে। এককথায় বলা যায়, জাল্লিকাট্টুর (Jallikattu) কারণেই ফের এক নৃশংসতার চিত্র ধরা পড়ল। জাল্লিকাট্টু (Jallikattu) নিয়ে মামলা দায়ের হলেও সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এই প্রথাকে বৈধ বলেই মান্যতা দিয়েছে।
জাল্লিকাট্টু (Jallikattu) ঘিরে তোলপাড়
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্পেনের ‘সান ফার্মিন’ বা ষাঁড়ের সঙ্গে দৌড় কিংবা আমেরিকার ‘বুল রাইডিং’য়ের মতই প্রাণঘাতী এক খেলা তামিলনাড়ুর জাল্লিকাট্টু। অতীতেও এই বিপদজনক খেলায় অংশগ্রহণ করে, না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। এবার নতুন বছরেই ফিরে এল সেই ভয়ানক ঘটনার স্মৃতি। ষাঁড়ের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে ৩০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জাল্লিকাট্টু দেখতে এসে ষাঁড়ের গুঁতোয় মারা যান ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তিও।
সূত্রের খবর, এদিকে বিনা চিকিৎসায় প্রয়াত হন ৫৬ বছর বয়সি পি পেরিয়াস্বামী। অন্যদিকে, বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত এক বৃদ্ধকে আচমকাই গুঁতিয়ে দেয় জাল্লিকাট্টু থেকে বেরিয়ে আসা একটি ষাঁড়। ৭০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, মন্ত্রীদের হাতেই গোটা তামিলনাড়ু জুড়ে উদ্বোধন হয়েছে একাধিক জাল্লিকাট্টুর।
আরোও পড়ুন : ছোট্ট বয়সে অভিনয়ে পা, এবার বড়পর্দায় ডেবিউ করছেন জি এর জনপ্রিয় নায়ক
জানা গিয়েছে, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া এক ষাঁড়ের মালিকের পুরস্কার হিসাবে একটি গাড়ি পেয়েছেন। পাশাপাশি আরেকজন ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণ করে জিতেছেন দুর্দান্ত একটি বাইক। তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এবং উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনের তরফেই দুটি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জাল্লিকাট্টুর আরেকটি নাম হচ্ছে ‘এরুথাঝুভুথাল’। তামিলনাড়ুতে ফসল কাটার উৎসব পোঙ্গলের সময়েও দেখা যায় ষাঁড়-মানুষের এই খেলা। দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে বিপুল জনপ্রিয়তার পাশাপাশি এই খেলার প্রচলন রয়েছে মহারাষ্ট্রেও। মহারাষ্ট্রেও এই খেলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা থাকে দেখার মত।
আরোও পড়ুন : সাসপেন্ড শুধু নয়! স্যালাইন কাণ্ডে ১২ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ! তোলপাড় রাজ্য
অতীতে প্রাণী হিংসার অভিযোগ এনে শীর্ষ আদালতে মামলা করছিল করেছিল প্রাণী অধিকার সংগঠন পেটা (PETA)। জাল্লিকাট্টু নিয়ে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে অবশ্য সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতদৃষ্টিতে খেলাটি নিষ্ঠুর হলেও, রক্ত নিয়ে খেলা হচ্ছে এমনটা বলা যাবে না। ফলে এই ভয়াবহ খেলার বৈধতাও বজায় থাকে শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)।