বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২১ সাল থেকেই উত্তরবঙ্গকে (North Bengal) পৃথক রাজ্য ঘোষণার দাবিতে সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গের বহু বিজেপি নেতা-মন্ত্রী। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর প্রথম এই দাবি তুলে রাজ্যে আলোড়ন ফেলেছিলেন আলিপুয়ারদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা (John Barla)। এমনকী দলের কয়েকজন নেতা নয়াদিল্লি পর্যন্তও তাঁদের এই আওয়াজ পৌঁছে দিয়েছিলেন। এর পরই দেখা গিয়েছিল, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবি করা জন বার্লা স্থান পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তার পর থেকেই লাগাতার বিজেপির বহু নেতার গলায় শোনা গেছে এই একই সুর। এবার সেই দাবীকেই আরও একবার উস্কে দিল জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় (Jayanta Roy)।
ঠিক কী দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ? উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে জয়ন্ত বলেন, ‘আমি তো কখনও বলিনি উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হোক। এটা মানুষের দাবি। একটা সমীক্ষা করা হোক না। একটা গণভোট হোক। তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে তামাম উত্তরবঙ্গের মানুষ কী চাইছে। বেশিরভাগ মানুষের মতামতকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’ তাঁর কথায়, ‘স্বাধীনতার আগের কথা তো ছেড়েই দিলাম। স্বাধীনতার পর এতগুলো সরকার গেছে কিন্তু উত্তরবঙ্গের মানুষের বঞ্চনামুক্তি ঘটেনি।’
তবে বিজেপি সাংসদের এই দাবির পর চুপ করে থাকেনি শাসক দল। বিজেপি নেতার বক্তব্যের পর পাল্টা গেরুয়া শিবিরকে বিঁধেছে উত্তরবঙ্গের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব (Gautam Deb)। তিঁনি বলেন, ‘বিজেপির সাংসদ একজন অর্বাচীন। ওঁর কথার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। ২০২৪-এ রেকর্ড ভোটে জলপাইগুড়ি আসন হারবে বিজেপি।’
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে অনড় উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্ব। তবে বিরোধীদের এই দাবীকে বিশেষ পাত্তা দেয়নি রাজ্যের শাসকদল। গত দেড়-দু’মাসে এসব বিষয় নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে খুব একটা আলোচনাও হয়নি। তবে এদিন ফের একবার নিজের মন্তব্যে সেই অল্প আঁচে জ্বলতে থাকা আগুনে ঘি ঢাললেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ।