বাংলাহান্ট ডেস্ক : জঙ্গিপুরের বাসিন্দা রংবাদ শেখের পড়াশুনা ক্লাস টু পর্যন্ত। কিন্তু তাতে কি? রীতিমত ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরী করে চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়ুর্বেদ ডাক্তারি! ধরা পড়ার পর অবশ্য নিজের মুখেই স্বীকার করে নিলেন সে কথা। বানারহাট এলাকার এই ঘটনা ফের একবার মনে করিয়ে দিল অতীতের সেই জাল ডাক্তারদের কথা। ভুয়ো চিকিৎসক রংবাদ শেখ মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুরের বাসিন্দা।
কিন্তু কিভাবে সামনে এলো এই ভুয়ো ডাক্তারের জালিয়াতি? গয়েরকাটার সুভাষপল্লির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায়ের ছয় বছরের পুত্র সন্তান ঋষি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। ছেলের চিকিৎসার জন্য বিশ্বজিৎ রায় বহু জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন। কিন্তু অনেক চেষ্টাতেও ছেলে সুস্থ হয়নি। কোনওরকম ভাবে এই খবরটি পৌঁছায় রংবাদ শেখের কাছে। এরপর রংবাদ শেখ নিজেই বিশ্বজিৎ রায়ের বাড়িতে চিকিৎসক পরিচয়ে হাজির হন। ঋষির জন্য তিনটি ওষুধ লিখে দাবি করেন ২৮ হাজার টাকা। এত পরিমাণ টাকার অংক শুনে সন্দেহ হয় বিশ্বজিৎ বাবুর। এরপর পাড়া-প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন তিনি। ভয় পেয়ে ভুয়ো চিকিৎসক সবার সামনে নিজের জালিয়াতি স্বীকার করে নেন।
এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ রায় জানিয়েছেন, আমরা ওনাকে আগে থেকে চিনতাম না। তিনি নিজে থেকে আমার বাড়ি এসে আমার বাচ্চার জন্য তিনটি ওষুধ পেসক্রাইব করেন। এই ওষুধের বিনিময়ে ভুয়ো চিকিৎসক ২৮ হাজার টাকা দাবি করেন। সন্দেহ হওয়ায় আমি প্রতিবেশীদের ডাকি। এরপর নিজের মুখে সবকিছু স্বীকার করে নেয় ওই ভুয়ো ডাক্তার।
ধরা পড়ে যাওয়ার পর নিজের মুখে সব কিছু স্বীকার করে রংবাদ শেখ জানান তিনি আর এই ধরনের কাজ করবেন না। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে তার অকপট স্বীকারোক্তি , “আমি কোথাও থেকে ডাক্তারি পাশ করিনি। বাড়িতেই আমি আমার ভুয়ো আই কার্ড বানিয়েছি।” এরপর স্থানীয় থানার পুলিশ এসে গ্রেফতার করে এই ভুয়া আয়ুর্বেদিক চিকিৎসককে।