হুহু করে কমছে দাম! বাংলায় মাত্র ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস

বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ফাঁপরে ফেলেছে মধ্যবিত্ত মানুষকে। চাল ,ডাল, আলু থেকে মুরগির মাংস সবই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। যত দিন যাচ্ছে কমার লক্ষণ তো নেই উল্টে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রব্যমূল্য। ঠিক এমন সময় উল্টো চিত্র দেখা গেল জলপাইগুড়ির মাংসের দোকানে। বাজার দরের থেকে অনেক সস্তায় সেখানে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। আর তা কিনতে দূর দূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু কিভাবে সম্ভব হচ্ছে এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে এত কম দামে মুরগির মাংস বিক্রি করা?

অর্থনীতিতে “মিনিমাম প্রফিট ম্যাক্সিমাম সেল” নামে একটি থিওরি আছে। অর্থাৎ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে দ্রব্যমূল্য বিক্রি করলে লাভাংশ কম হয় ঠিকই কিন্তু এতে বিক্রি বেড়ে যায় বহু গুণ। ঠিক এই থিওরি কাজে লাগিয়েছেন জলপাইগুড়ির মুরগির মাংস বিক্রেতা অনু মোহাম্মদ। এই অগ্নিমূলের বাজারে তিনি মাংস বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা প্রতি কেজি হিসাবে।

নিউ জলপাইগুড়ির ৭৩ মোড় এলাকার মুরগির মাংস বিক্রেতা অনু মোহাম্মদ। তিনি সর্বসাধারণের জন্য ১৩০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে মুরগির মাংস বিক্রি করছেন। বর্তমানে নিউ জলপাইগুড়ি শহরে যেখানে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে সেখানে এতটা কম দামে মাংস পেয়ে খুশি ক্রেতারা। এত সস্তায় মাংস কেনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় করছেন ৭৩ মোড় এলাকার এই মুরগির দোকান।

WhatsAppXImageX2022 07 17XatX1.39X.56XPMX

আজ রবিবার ছুটির দিনে দোকানের সামনে বিরাট লাইনও পড়ে যায় মাংস কেনার জন্য।
বিক্রেতা অনু মোহাম্মদ জানিয়েছেন, তিনি সরাসরি কোম্পানির থেকে মুরগি কেনেন। এরপর মাত্র ৭ শতাংশ লাভ রেখে বিক্রি করে দেন সেই মুরগি। এর ফলে প্রতিদিন প্রায় ২ কুইন্টাল করে মাংস বিক্রি হচ্ছে তার দোকান থেকে। রবিবার সেই পরিমাণ দাঁড়িয়ে যায় ৬ কুইন্টালের পাশাপাশি। এই দোকানের জেরে আশেপাশের সমস্ত মুরগির দোকান প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। অনুর ব্যবসা যেখানে ফুলে ফেঁপে উঠছে সেখানে অন্যান্য দোকানদাররা লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর