বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিবাহিত শিক্ষকের সাথে ঘনিষ্ঠতার জেরে কি আত্মঘাতী যুবতী? পৌলমী বোস নামের এক যুবতী তার শিক্ষকের নামে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত পৌলমী জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দা। পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে শিক্ষককে। ওই যুবতী থাকতেন জলপাইগুড়ি শহরের আদরপাড়া এলাকায়।
সুইসাইড নোটে তিনি উল্লেখ করেছেন শিক্ষক দেবরাজ তলাপাত্রের নাম। জানা গেছে দেবরাজ বিবাহিত। দুটি সন্তানও রয়েছে তার। পৌলমীর পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক যুক্ত ছিলেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে। সেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সুবাদে পৌলমীর সাথে আলাপ হয় দেবরাজের। দেবরাজ তলাপাত্র গত এক বছর ধরে যাতায়াত করতেন পৌলমীর বাড়িতে।
আরোও পড়ুন : রিমেলের জেরেই বাড়বে ইলিশ প্রাপ্তি! হাতে আসবে ভুরি ভুরি মাছ, এ যেন শাপে বর মৎস্যজীবীদের
২১ বছরের পৌলমী গত সোমবার নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। জানা গেছে, অত্যন্ত দারিদ্রতা সত্বেও মৃত যুবতী পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পৌলমী বিজ্ঞানের স্নাতক বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন তিনি। কেন পৌলমী আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে পরিবারের মধ্যে।
আরোও পড়ুন : বিশ্বমঞ্চে নারী শক্তির জয়! রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ সম্মান প্রদান ভারতীয় সেনার মেজর রাধিকা সেনকে
পৌলমীর বাবা প্রবাল বসু জানিয়েছেন, “আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ি দেবরাজ। মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” অন্যদিকে, দেবরাজ সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, পৌলমীর সাথে ঠাকুরের কাজকর্ম করতে গিয়ে তার আলাপ হয়। সুইসাইড নোটে তার নাম থাকায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে আদালতে তোলা হয় দেবরাজকে। সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন যে দেবরাজের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। বিচারক দেবরাজকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।