বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পহেলগাঁওতে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে নিরীহ পর্যটকদের টার্গেট করে হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। ইতিমধ্যেই ওই হামলার পর কিছু ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেগুলির মাধ্যমে এই ভয়াবহ হামলা যে কতটা নৃশংস তা স্পষ্ট হয়েছে।
ভয়াবহ হামলা কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir):
এদিকে, হামলার জেরে ১ জন পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন (তবে, জানা যাচ্ছে এই সংখ্যা বেড়ে হতে পারে ২৭) এবং প্রায় ১২ থেকে ১৩ জন পর্যটক আহত হয়েছেন যাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। এদিকে, মৃত পর্যটকের নাম হল মঞ্জুনাথ। তিনি কর্ণাটকের শিবমোগ্গার বাসিন্দা। কীভাবে এই ভয়াবহ হামলা ঘটল সেই বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা পর্যটক। তিনি জানিয়েছেন যে, সন্ত্রাসবাদীরা প্রথমে পর্যটকদের নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞাসা করে এবং তারপর তাঁদের গুলি করে। এই পুরো ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী মহিলা কী বলেছেন তা আমাদের জানান।
হাতে চুড়ি রয়েছে দেখে স্বামীকে গুলি করা হয়: পহেলগাঁওতে (Jammu and Kashmir) সন্ত্রাসবাদী হামলার পর, একজন মহিলা পর্যটক পিসিআর-কে ফোন করেছিলেন। যেখানে তিনি জানান যে ৬ থেকে ৭ জন পর্যটককে গুলি করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন যে, একজন সন্ত্রাসবাদী গুলি চালিয়েছে। ধর্ম জিজ্ঞাসা করার পর এবং স্ত্রীর হাতে চুড়ি দেখার পর স্বামীকে গুলি করা হয়।
আরও পড়ুন: IPL ২০২৫-এ এই দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হল চিঠি
ওই মহিলা জানান, “আমি ওখানে ছিলাম….. ভেলপুরি খাচ্ছিলাম আর আমার স্বামী পাশে ছিল। একজন এসে তাঁকে গুলি করে। ওই লোকটি বলে যে দেখে মুসলিম মনে হচ্ছে না। তারপরেই গুলি করেছে।” মহিলাটি পিসিআর-এ ফোন করে কাঁদতে থাকেন এবং তাঁর স্বামীকে বাঁচাতে সাহায্য চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ! পর্যটকদের লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলা, মৃত ১, আশঙ্কাজনক ২
৩ থেকে ৫ মিনিট ধরে চালানো হয় গুলি: এই ঘটনা সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদীরা পহেলগাঁওতে পর্যটকদের ওপর ৩ থেকে ৫ মিনিট ধরে গুলি চালায়। এরপর সন্ত্রাসবাদীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুরো ঘটনায় প্রায় ১২ জন পর্যটক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের সকলকে অনন্তনাগের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভিক্টর ফোর্স এবং স্পেশাল ফোর্স, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) পুলিশের এসওজি এবং সিআরপিএফ সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে।