বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সদ্য সম্পন্ন হয়েছে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। প্রায় দেড় মাস ধরে দিল্লির মসনদ দখলের ‘লড়াই’ চলার পর মঙ্গলবার ফল ঘোষণা হয়েছে। এবার নতুন সরকার গঠনের পালা। তবে তার আগেই একটি বিরাট নির্দেশ দিল হাই কোর্ট (Jammu and Kashmir High Court)। যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বহু সরকারি কর্মী।
চাকরিরত অবস্থায় যদি কোনও সরকারি কর্মীর (Government Employee) মৃত্যু হয়, তাহলে তাঁর পরিবারকে সহানুভূতির ভিত্তিতে যে সরকার চাকরি দেওয়াই হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই, এবার জানিয়ে দিল জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হাই কোর্ট। জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি (Compassionate Jobs) চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দু’জন ব্যক্তি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে হওয়া শুনানিতেই এমন নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গেই ওই মামলাটিও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
সুম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ হাই কোর্টের বিচারপতি রাজেশ শেখরি এই নির্দেশ দেন। আদালত জানিয়েছে, চাকরিরত সরকারি কর্মীর পরিবারের কোনও সদস্যকে তখনই সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হবে যখন দেখা যাবে প্রয়াত সরকারি কর্মীর পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন সচ্ছল নয়। তাই সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়ার আগে উক্ত সরকারি কর্মীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখার কথা বলেছে হাই কোর্ট।
আরও পড়ুনঃ ‘একহাঁড়ি দই পাঠাব’! সাংসদ হয়েই লকেটকে ‘গিফট’ পাঠাবেন রচনা, ঘোষণা TMC নেত্রীর
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনে চাকরিরত অবস্থায় ২০০২ সালে প্রয়াত হন ইশফাক আহমেদ ভাটের বাবার এবং ২০০৭ সালে প্রয়াত হন মহম্মদ আশরাফ মীরের বাবা। এমতাবস্থায় দু’জনই উক্ত সংস্থার কাছে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরির আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁদের সেই আর্জির প্রেক্ষিতে সুপারিশ করলেও ইশফাক এবং আশরাফের চাকরি পেতে দেরি হচ্ছিল। তাই শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
ইশফাক এবং আশরাফের অভিযোগ ছিল, অন্যান্যদের সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দিয়ে তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। মামলাকারীরা জানান, তাঁদের পিতাদের প্রয়াণের পর তাঁদের সংসারের অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি ঘটে। সেই কারণে কর্পোরেশনের তরফ থেকে তাঁদের চাকরি দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে কর্পোরেশনের তরফ থেকে দাবি করা হয়, পিতাদের প্রয়াণের বেশ কয়েক বছর পর চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন ইশফাক এবং আশরাফ। মাঝখানের এই সময়ে তাঁদের পরিবারের আর্থিক উন্নতি হওয়ার কথা। প্রয়াত কর্মীর পরিবারের যাতে তাৎক্ষণিক সুরাহা হয় সেই কারণে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি প্রদান করা হয়। হাই কোর্টের তরফ থেকে ইশফাক এবং আশরাফের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।