বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরকে (Jammu Kashmir) দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হলেও, সুরক্ষা বিষয়ে এখনও বিশেষ উন্নতি হয়নি সেখানে। সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা এবং লাগাতার এনকাউন্টার করা সত্ত্বেও, প্রচুর সংখ্যক স্থানীয় যুবক দলে দলে যোগ দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদী দলে। ক্রমশই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে জম্মু ও কাশ্মীর।
যোগ দিচ্ছে জঙ্গী সংগঠনে
জম্মু ও কাশ্মীরের বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। মন্ত্রকের তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছর প্রথম সাত মাসে প্রায় ৯০ জন স্থানীয় মানুষের মধ্যে ৪৫ জন হিজবুল মুজাহিদিন, ২০ জন লস্কর-ই-তৈয়বা, ১৪ জাইশ-ই মোহাম্মদ, ৭ জন আল বদর, ২ জন আনসার গাজওয়াত উল হিন্দ এবং ১ জন ইসলামী রাষ্ট্র-অনুপ্রাণিত সন্ত্রাসী সংগঠন আইএসজেকে যোগ দিয়েছিলেন।
৯০ শতাংশেরও বেশি জঙ্গী স্থানীয় বাসিন্দা!
এই বিষয়ে একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘পূর্বে সন্ত্রাসবাদী দলের সাথে যুক্ত হলে, তাঁর খবর পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে বিরাট সংখ্যক যুবক সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যুক্ত হলেও, তাঁর কোন খবরই পাওয়া যাচ্ছে না। এনকাউন্টারে মৃত জঙ্গীদের পরিচয় দেখে জানা যাচ্ছে, প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি জঙ্গী জম্মু ও কাশ্মীরের স্থানীয় বাসিন্দা’।
তদন্ত করে জানা গেছে, সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ২১৬ জন স্থানীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, লকডাউনের কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় যুব সম্প্রদায় গৃহবন্দি হওয়ায় তাঁদের কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে এইরূপ মানসিকতা তৈরি হচ্ছে।
রিপোর্ট থেকে জানা গেছে
রিপোর্ট বলছে, চলতি বছর মাত্র ৭ মাসের মধ্যে আতঙ্কবাদী দলে যুক্ত হওয়া ১৩৬ জনের মধ্যে ১২১ জনই স্থানীয় বাসিন্দা। এমনকি ২০১৯ সালের সেনাদের সাথে সংঘাতের জেরে মৃত ১৫২ জন আতঙ্কবাদীর মধ্যে ১১৯ জন স্থানীয় ছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে ২৪ জন জঙ্গি নিহত হলেও আবার ২৩ জন স্থানীয় যুবক জঙ্গী দলে নাম লিখিয়েছে। উল্লেখ্য, শোপিয়নে ১০ ই আগস্ট এক যুবক জঙ্গী সংগঠনে যুক্ত হয়েই ১৯ শে আগস্ট নিহত হন।