বাংলাহান্ট ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) রাজনৈতিকভাবে বন্দি থাকা তিন মুখ্যমন্ত্রীকে মুক্তি দেওয়া হোক। মুক্তি দেওয়া হোক বাকি সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিকেও। সোমবার এমনটাই দাবি করা হয়েছে বিরোধীদের তরফে।
আটক থাকা তিন মুখ্যমন্ত্রী হলেন ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লঅ্ ও মেহবুবা মুফতিও Mehbooba Mufti)।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে জন সুরক্ষা আইনের জন্য প্রাক্তন তিন মুখ্য মন্ত্রী আটক হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে দাবি বিরোধীদের জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বিরোধীদের তরফে এদিন রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি করা হয়েছে। যৌথ বিবৃতি যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) , প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবে (গৌড়া, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিএম-এর ডি রাজা, আরজেডির মনোজ কুমার ঝা, প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা এবং অরুণ শৌরি।
বিরোধীদের অভিযোগ, কাশ্মীরে গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার ওপর আঘাত করা হচ্ছে। তাদের আরও অভিযোগ মতবিরোধকেই কেবল নিবৃত্তি করা হচ্ছে না, সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকেও নিঃশব্দ করে দেওয়া হচ্ছে।
বিরোধী নেতারা বলেছেন, ওই তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আগে থেকে এমন কোনও অভিযোগ নেই যে তারা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ এবং তাঁদের কর্মকাণ্ড জাতীয় স্বার্থকে বিপন্ন করেছে।
তবে কেন্দ্রের কাছে পাঠানো ওই প্রস্তাবনায় বিরোধীদের দ্বন্দ্বও প্রকাশ পেয়েছে। এই প্রস্তাবনায় সই নেই কংগ্রেসের। এনসিপি, আরজেডি, সিপিআইএম, সিপিআই, জেডিএস আর দুই বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরির স্বাক্ষর রয়েছে। এই প্রস্তাবনায় কেন নাম নেই কংগ্রেস ও ডিএমকে’র? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সংসদ ও সংসদের বাইরে এই নিয়ে অনেক আগে থেকেই আন্দোলন করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি সাংসদের আলোচনায় মোদি সরকারের কাশ্মীর নীতির সমালোচনায় সরব হয় এই দল। তাই প্রস্তাবনায় স্বাক্ষর করেনি তারা।