ভারতীয় পতাকা হাতে রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ, গাইল জাতীয় সঙ্গীত! জম্মু কাশ্মীরে জাতীয়তাবাদের ঝড়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : সারাদেশজুড়েই শুরু হয়েছে স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপনের প্রস্তুতি। আর চলতি বছর স্বাধীনতার উদযাপনে গোটা দেশকে শামিল করার জন্য ‘মেরি মাটি, মেরা দেশ’ কর্মসূচির চালুর ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। তিনি জানান, সেই কর্মসূচির আওতায় দেশের শহিদ বীর ও বীরাঙ্গনাদের সম্মান প্রদর্শন করা হবে। গতকাল এই কর্মসূচির জন্য পুলওয়ামায় হাজার হাজার মানুষ শামিল হয়েছিল।

স্বাধীনতার ৭৭ বছর পূর্তিতে শহিদ বীরদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এই নতুন প্রোগ্রাম। সূত্রের খবর, পুলওয়ামার মহিলা কলেজ থেকে এই র‌্যালি শুরু হয়েছিল। এইদিন এই র‌্যালিতে জাতীয়তাবাদীদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মত। প্রোগ্রামটিতে অংশ নিয়েছিল দেশের যুবক, স্কুলের শিশু, কলেজ ছাত্র ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারী, সুশীল সমাজের সদস্য, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই। পুলওয়ামার ডেপুটি কমিশনার ডঃ বাশারত কাইয়ুম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ভাষণে তিনি শহীদ ও জাতীয় বীরদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন।

অনুষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরে, ডক্টর বাশারত কাইয়ুম বলেন, ‘এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলি জাতির প্রতি পুলওয়ামার জনগণের দায়িত্ব স্পষ্ট কযে।’ জেলা প্রশাসক এই জমকালো অনুষ্ঠানের জন্য পুলওয়ামার জনগণকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন যে, ‘এই ধরনের ঐতিহাসিক অংশগ্রহণ এবং সম্মিলিত সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানটি অনুপ্রেরণাদায়ক এবং অবিস্মরণীয়।’

আরও পড়ুন : স্কুলে মহাকর্ষ তত্ব বোঝানোই হল কাল! ইসলাম অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে খুন তরুণ শিক্ষক

এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় বিশাল তেরঙ্গা র‌্যালি বের হয়েছে। এর আগে শুক্রবার ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অংশ হিসাবে, J&K পুলিশ কাশ্মীর জুড়ে বিভিন্ন পুলিশ প্রতিষ্ঠানে “মেরি মিট্টি মেরা দেশ-মিট্টি কো নমন বীরো কা বন্দন” নামের একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক কাশ্মীরিও অংশ নেন। জেলায় জেলায় শুরু হয় দেশাত্মবোধক কর্মকাণ্ড।

আরও পড়ুন : হেঁশেলে আগুন! ফের বাড়ছে চিকেন-ইলিশের দাম, নতুন দর জেনে হতাশ হবেন আপনিও

পাশাপাশি বারামুল্লার পুলিশরাও সমস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি তেরঙ্গা র‌্যালির আয়োজন করেছিল। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলার এসডিপিও, এসএইচও, আইসি পিপি এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মীরাও। তাদের সাথে সিআরপিএফ, বিএসএফ, এসএসবি এবং স্কুলের ছেলেমেয়েরাও মিছিলে অংশ নেয়।

এছাড়াও দিল্লিতে তৈরি হচ্ছে অমৃত বাটিকা নামে একটি বাগান। সূত্রের খবর, গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে সেই বাগানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামী, দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া পুলিশ বা সেনাদের বড়ির মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। দিন কয়েক আগেই কোদালিয়ায় নেতাজি সুভাষচন্দ্রের বাড়ি থেকেও মাটি সংগ্রহ করা হয়। এইসমস্ত মাটি প্রায় সাড়ে সাত হাজার পাত্রে জড়ো করা হবে। এবং সেই মাটি একত্র করে বসানো হবে নতুন গাছের চারা। এবং এভাবেই ওয়ার মেমোরিয়ালের কাছে গড়ে উঠবে ‘অমৃত ভাটিকা’।