বাংলাহান্ট ডেস্ক: কাশ্মীর এখন অনেকটাই শান্ত,তবু কাটেনি আতঙ্ক। তাই পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না অভিভাবকরা। কাশ্মীর থেকে বিশেষ স্বাধীনতা তুলে নিয়েছেন ভারত সরকার। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় কাশ্মীরে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। দফায় দফায় চলছে কারফিউ।
কাশ্মীরকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে ভারত সরকার আগেই কাশ্মীরের বেশিরভাগ স্কুল চালু করে দিয়েছেন। তবু যেন কাটেনি দুঃস্বপ্নের ঘোর। এখনও সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না অভিভাবকরা।এছাড়া হঠাত হঠাত কারফিউ জারি হওয়ার কারনে স্কুলে যেতে পারছেনা বহু পড়ুয়া।
কিন্তু পড়ুয়াদের পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য এগিয়ে এসেছেন মুনাজা ইমরান বাট নামে প্রাইভেট শিক্ষক। তিনি বাড়িতেই পড়াচ্ছেন প্রায় দুশো পড়ুয়া। এই প্রসঙ্গ এ মুনাজা বলেন, ২০১৬ সালে আরও একবার দীর্ঘদিন কারফিউ চলেছিল কাশ্মীরে তখন শিক্ষাত্রীদের প্রাইভেট পড়িয়েছিলেন শিক্ষকরা। কারফিউ চললে এভাবেই পড়ুয়াদের দ্বায়িত্ব নেন শিক্ষকরা। আসলে অভিভাবকরা এতটাই আতঙ্কিত উনারা বুঝতে পারছেন না বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো উচিৎ হবে কিনা।
পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চাদের যাতে পরীক্ষা দিতে অসুবিধা না হয় সেদিকেও নজর রাখছেন প্রাইভেট টিউটররা। প্রাইভেট টিউটররা বলছেন,পরীক্ষা ছাড়াই সরকার ছাত্রছাত্রীদের পরের ক্লাসে তুলে দেবে।
এই প্রসঙ্গএ একজন অভিভাবক বলেন, স্কুলের অভাব মেটানো সম্ভব নয়। তবু সারাদিন ওদের ব্যাস্ত রাখা যায়।