বাংলা হান্ট ডেস্ক : 2019 সালের 5 ই আগস্ট সংবিধানের 370 ধারা ও 35 (A) ধারা অবলুপ্তি ঘটিয়ে কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে মোদি সরকার। ফলে ভূস্বর্গ তার বিশেষ মর্যাদা হারায়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে জম্মু এবং কাশ্মীর লাদাখ মিলে আর একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
তখন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনা আগ্রাসনের মূল কারণ 370 ধারার বিলোপ অর্থাৎ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চীনকে প্ররোচিত করছে বলে দাবি করে সে।
সম্প্রতি, এক জাতীয় বৈদ্যুতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ওরা (চীন) কোনদিনও মেনে নেয়নি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ওরা (চীন) যা করছে তার মূলে রয়েছে 370 ধারা বিলোপ। আশা করি ওদের(চীনের) সাহায্যেই কাশ্মীরে 370 ধারা ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, আমি চীনের প্রেসিডেন্ট কে আমন্ত্রণ জানাইনি। প্রধানমন্ত্রী ওকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। চেন্নাই নিয়ে গিয়ে একসঙ্গে খাবার খেয়েছেন।’ ফারুক আব্দুল্লাহ অভিযোগ, সংসদের বাদল অধিবেশনে তাকে কাশ্মীরের মানুষের সুবিধা অসুবিধা নিয়েও কথা বলতে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, আগেই লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে চীন। চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন,’ চীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে লাদাখ কে মান্যতা দেয় না। ভারত বেআইনিভাবে এটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে। এর মধ্যে ফারুক আব্দুল্লাহর ‘চীনের সমর্থনে কাশ্মীরে 370 ধারা ফিরবে’ এই মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।