বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘লেহেরও সে ডর কর কভি নৌকা পার নেহি হোতি, কৌশিশ করনে ওয়ালো কি কভি হার নেহি হতি’, আজ থেকে বহুকাল আগে হরিবংশ রাই বচ্চনের লেখা এই কবিতার বাস্তব রূপ ফুটিয়ে তুলল জম্মুর যুবক দানিশ।
অসম্ভব বলে পৃথিবীতে কিছু হয় না। কাজের প্রতি নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও প্রচেষ্টা যে কোন কঠিন কাজকেই সহজ করে দেয়। এই তিনের সংমিশ্রণে আসে সাফল্য। ইচ্ছাশক্তিকে হাতিয়ার করে স্বপ্নকে বাস্তব করা যায় নিমেষেই! অদম্য ইচ্ছাশক্তি এক জ্বলন্ত উদাহরণ তৈরি করলেন জম্মুর যুবক দানিশ ল্যাঙ্গার। উত্তরাখণ্ড মিলিটারি অ্যাকাডেমি থেকে সফল ২৮৮ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র দানিশ।
সালটা ২০১৭। গালিয়ান ব্যারি সিনড্রোম নামক (জিবিএস) এক কঠিন ও বিরল রোগে আক্রান্ত হন দানিশ। এর ফলে শরীরের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যায় দানিশের।
জিবিএস একটি বিরল রোগ। এই রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই স্নায়ুগুলির উপর আক্রমণ করে এবং শরীরের মোটর কার্যকারিতাকে নষ্ট করে দেয়। এর ফলে ব্যক্তি পক্ষাঘাতের শিকার হয়। সাধারণত প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
ছোটবেলা থেকেই দানিশ এর স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনীতে যোগদান করে দেশের সেবা করা। কিন্তু বিরল এই রোগের কারণে সেই স্বপ্নের মাঝখানে চলে আসে হাজার সংশয়। অবশেষে প্রবল ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করে দানিশ পার করলো তার স্বপ্নের সমুদ্রকে। দানিশ এর এই সাফল্যে হাসি ফুটেছে তার পরিবারের মুখেও।
দানিশের মা মঞ্জুদেবী বলেন, ‘ছোটো থেকেই মিলিটারি হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার ছেলের। কিন্তু এই রোগের কারণে সেই স্বপ্ন সত্যি হবে কিনা সেই নিয়ে সংশয়ে ছিলেন সবাই। এতো প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দানিশ পাশ করেছে, এটাই অনেক ‘।