বাংলাহান্ট ডেস্ক: চলতি সপ্তাহেই মুক্তি পেতে চলেছে জাহ্নবী কাপুর (janhvi kapoor) অভিনীত ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’ (gunjan saxena: the kargil girl)। এর আগে প্রকাশ্যে এসেছে ছবির ট্রেলার। এবার জানা গেল ছবির শুটিংয়ের সময়কার কিছু অজানা তথ্য যা নিজেই জানালেন জাহ্নবী। ছবিতে রান্নাঘরের একটি দৃশ্য শুট করতে গিয়ে কি অবস্থা হয়েছিল তাঁর, নিজের মুখেই জানালেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে গুঞ্জন সাক্সেনা নিয়ে সাক্ষাৎকার দেন জাহ্নবী। ডেবিউ ছবি ‘ধড়ক’এ তাঁর অভিনয় দেখেই এই ছবির জন্য তাঁকে মনোনীত করেন পরিচালক শরণ শর্মা। এটা তাঁরও পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবি। শরণের কথায়, “আমি গুঞ্জন সাক্সেনার কাহিনি পড়েছিলাম। এই নিয়ে ছবিও করতে চাইছিলাম। করন জোহরের সঙ্গে কথা বলতে উনি আমাকে ছবি তৈরির অনুমতি দেন। কিন্তু সেই সময় আমি বুঝতে পারছিলাম না ছবির অভিনেত্রী কে হবেন। তারপরেই আমি ধড়ক দেখলাম আর তখনই বুঝে গেলাম আমি আমার ছবির গুঞ্জনকে পেয়ে গিয়েছি।”
জাহ্নবী স্বীকার করেন যে গুঞ্জন সাক্সেনার চরিত্রে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাঁকে। এই চরিত্রটি বেশ কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি। জাহ্নবী জানান, এই ছবির প্রসঙ্গে বাবা বনি কাপুরের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। বনিরও চরিত্রটি বেশ পছন্দ হয়। তবে অভিনেত্রীর কথায়, বাবা বারন করলেও এই ছবিটি তিনি করতেন কারন এর মাধ্যমে বহু মহিলা অনুপ্রাণিত হবেন।
ছবিতে জাহ্নবীর অনস্ক্রিন বাবা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর সঙ্গে একটি দৃশ্য রয়েছে যেখানে তাঁকে রান্নাঘরে মশলা চিনতে হয়। এই দৃশ্যটি করতে কোনও অসুবিধা হয়নি? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, “রান্নার বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানিনা। তবে এই লকডাউনে আমি রান্নাঘরে ঢোকা শুরু করি। অনেক কিছু শিখেওছি। কিন্তু মশলা আমি তেমন চিনতে পারি না। বাবা ঝাল খুব পছন্দ করেন, তাই গোলমরিচ আমি ভাল চিনি।”
প্রসঙ্গত, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট গুঞ্জন সাক্সেনার কাহিনি নিয়েই তৈরি এই ছবি। তিনি ‘কার্গিল গার্ল’ নামেও পরিচিত ছিলেন। বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য শৌর্য চক্র পেয়েছিলেন তিনি। গুঞ্জন সাক্সেনাই প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়েছিলেন। এর আগে কোনও ভারতীয় মহিলার যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার অনুমতি ছিল না।
কার্গিল যুদ্ধক্ষেত্রের দুর্গম এলাকায় আটকে পড়া ভারতীয় সৈনিকদের এয়ারলিফট করে নিজেদের ক্যাম্পে পৌঁছানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল গুঞ্জনকে। সেই সঙ্গে শত্রু সেনার গতিবিধি লক্ষ্য করে সেই তথ্য ভারতীয় সেনার কাছে পৌঁছে দেওয়াও ছিল তার দায়িত্ব। বীরত্ব, সাহস ও অসাধারন প্রশিক্ষণের দৌলতে তিনি সফলভাবে নিজের কাজ করতে সক্ষম হন।
ভারতীয় মহিলা হিসাবে এই কৃতিত্ব গুঞ্জনেরই প্রথম। তাই তাঁকে ‘কার্গিল গার্ল’ এর খেতাব দেওয়া হয়। আগামী ১২ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ‘গুঞ্জন সাক্সেনা: দ্য কার্গিল গার্ল’।