বাংলাহান্ট ডেস্ক : গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে পৃথিবী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই আবহে নতুন প্রজাতির শামুকের হদিস মিলল সুন্দরবন (Sundarban) থেকে। এছাড়াও জাপান ও তাইওয়ানের মাছের সন্ধান মিলল পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে। এমনটাই জানিয়েছে জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া।
এছাড়াও ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উপকূলগুলিতে দেখা মেলা এক ধরনের বিশেষ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রবালের সন্ধান পাওয়া গেছে বাংলার সমুদ্র উপকূল থেকে। জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সুন্দরবন আঞ্চলিক অফিস থেকে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় এই ধরনের প্রাণী প্রথম পাওয়া গেল।
আরোও পড়ুন : জনপ্রতি প্রয়োজন ৪৫০ লিটার জল! এই বিপুল চাহিদা মিটবে কী করে? চিন্তায় কলকাতা পুরসভা
গবেষকরা এই প্রাণীগুলি নিয়ে গবেষণা করবেন বলে জানানো হয়েছে। সুন্দরবন আঞ্চলিক অফিসের আধিকারিক জেএস যোগেশকুমার বলেছেন, ‘এইসব প্রাণী আগে কখনও রাজ্যে পাওয়া যায়নি। কীভাবে তারা এখানে এল এবং এখানকার জলবায়ু ও অন্যান্য পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে কি না ইত্যাদি বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা করবেন গবেষকরা।’
আরোও পড়ুন : শেষমেশ করোনার টিকাই হল কাল! রক্ত জমাটের সম্ভাবনা বাড়ছে শরীরে, ভয় ধরানো মন্তব্য সংস্থার
জেডএসআইয়ের আধিকারিকের কথায়, ১৭৭ প্রজাতির শামুকের দেখা মেলে সুন্দরবনে। এই অঞ্চলের নদীতে এবার আরও এক ধরনের শামুকের সন্ধান মিলল। এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে এখনো মানুষ পৌঁছাতে পারেনি। সেখানকার নদী, খাঁড়িতে অনুসন্ধান করলে আরো অনেক প্রজাতির সন্ধান মিলতে পারে। গবেষকরা এভাবেই সন্ধান করতে করতে পেয়েছেন নতুন প্রজাতির খোঁজ।
বঙ্গোপ্রসাগরের কাছে একটি মৎস বন্দরে সন্ধান পাওয়া গেছে ব্ল্যাকস্পট ব্যান্ড ফিশের। ছোট সাপের মতো দেখতে এই মাছগুলির মাথাগুলি মোটা, শরীরের অংশ সরু। সাধারণত এই ধরনের মাছের দেখা মেলে জাপান ও তাইওয়ানের উপকূলে। অন্যদিকে,স্নো ফ্লেক সফ্ট কোরাল নামের এক ধরনের প্রবালের সন্ধান পাওয়া গেছে দীঘা উপকূল থেকে।