জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত শতাধিক, লাইনচ্যুত বুলেট ট্রেন! সুনামির সতর্কতা জারি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাপানের বুকে আবারো ঘটে গেল এক বীভৎস ভূমিকম্প! ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই যে এর ফলে সুনামি সর্তকতা পর্যন্ত জারি করা হয়েছে। ফলে স্বভাবতই বিপর্যস্ত এবং আতঙ্কিত দেশের মানুষজন। গতকাল এই ঘটনাটির প্রভাব কত দূর বিস্তৃত হয়েছে চলুন দেখে নেয়া যাক।

সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর জাপানের ফুকুশিমা অঞ্চলে এবং জানা যাচ্ছে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে প্রায় 7.3 দশমিক (আনুমানিক) এবং এর ফলে এলাকার অবস্থা যে শোচনীয় হবে সে কথা আর বলে দিতে হয় না। আবহাওয়া বিভাগ এর পক্ষ থেকে এরপরে সুনামি সর্তকতা জারি করা হয়েছে এবং সেই পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে চলেছে জাপানের সরকার। জানা গেছে, এই ভূমিকম্পের পর উত্তর-পূর্ব জাপানের বেশ কিছু এলাকায় আফটার শক অনুভব করা যায়।

ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে এর ফলে এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, চার জন মানুষের মৃত্যু হয় এবং শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয় প্রায় কুড়ি লক্ষ ঘরের ভিতরে ইলেকট্রিক সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে খবর। এর পূর্বে জাপানে 2011 সালের মার্চ মাসে ভয়ানক ভূমিকম্প হয় এবং তারপর সুনামি গ্রাস করে এক বৃহত্তর অঞ্চলকে। এর ফলে প্রাণ হারান হাজারেরও বেশি মানুষ। এবারের ভূমিকম্পের তীব্রতা যে কম ছিল তা বলা যায় না এবং এর আন্দাজ আপনারা লাগাতে পারেন একটি ঘটনা থেকে। জানা গেছে, ভূমিকম্পের সময় একটি চলন্ত বুলেট ট্রেন লাইন থেকে পর্যন্ত নেমে আসে। সেই সময় ট্রেনের মধ্যে অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করলেও আশার খবর এই যে, তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।

জাপানের ভূমিকম্পের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাটির নিচে প্লেট যখন নড়াচড়া শুরু করে তখন মাটির উপরে ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং যে এলাকায় ভূমিকম্প উৎসস্থল হয় তার চারপাশের এলাকায় তীব্রতা সবচেয়ে অধিক হয়। গতকালের ভূমিকম্পের উৎসস্থল টোকিও শহর থেকে 297 কিলোমিটার দূরে ছিল বলে জানা গেছে এবং এর ফলে জাপানের পূর্ব অঞ্চলে ভয়াবহ ক্ষতির কথা জানা যাচ্ছে। তবে বর্তমানে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে কিনা কিংবা আসলেও সেটি 2011 সালের মতো ভয়াবহ রূপ নেবে কিনা সেদিকে নজর গোটা বিশ্বের।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর