বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আগে থেকেই ঠিক করা ছিল এ বছরের এপ্রিলে জাপানে রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে করোনাভাইরাস (corona virus) মহামারি আকারে ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে শি জিনপিংয়ের সেই সফর পিছিয়ে যায়।
কিন্তু ২০০৮ সালের পর জাপানে চীনের (china) প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর একেবারে আটকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়ার জেরে চীন ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে এ বিষয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তাই টোকিওর তরফে এই সফর বাতিল করার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে।
জাপান সরকারও কড়াভাবে চীনের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। এমনকি হংকংয়ের মানুষদের অধিকারের প্রশ্নে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিও দিয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তরফে এ বিষয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তাই টোকিওর তরফে এই সফর বাতিল করার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে।
অনেকদিন থেকেই চিন-জাপান সম্পর্কের পারদ চড়ছে তবে সাম্প্রতিক খোঁচার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে রয়েছে চিন অনুমোদিত হংকংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইন। আইনগত এই ভাবনা নিয়ে চিনকে ভালো চোখে দেখছে না জাপানও।
করোনা ভাইরাসকে সামনে রেখে আক্রমনাত্মক কূটনীতি এবং হংকংয়ের উপর আরও ক্ষমতা কায়েম করার চেষ্টা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছে চিন, যে কারণে লাল চিনকে কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছে জাপান। হংকং একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্র এবং তা নিয়ে বরাবরই আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান।
বর্তমানে হংকংয়ে ১৪০০ জাপানি কোম্পানির অস্তিত্ব রয়েছে এবং দীর্ঘদিন যাবত জাপান থেকে কৃষিজাত দ্রব্য সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আমদানি করে আসছে হংকং। জাপানের ব্যাবসায়িক কমিউনিটি মনে করে করছে চিনের নতুন আইন হংকংয়ে দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠানকে নাড়িয়ে দেবে। ব্যপক পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জাপান।
চলতি সপ্তাহ থেকে লাগু হওয়া এই আইনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাপান। হংকংয়ের স্বাধীনতা ভঙ্গ করছে। বিদেশমন্ত্রী তোশিমিতস্যু মোতেগি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ক্ষোভপ্রকাশ করে হংকংয়ে জাপানী মানুষদের এবং কোম্পানিদের অধিকার রক্ষার কথাও বলা হয়েছে।
পাশাপাশি এও মনে করা হচ্ছে, চিনের তরফের সফরে দীর্ঘদিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন মিটলেও মিটতে পারত। এপ্রিল মাস থেকে এখনও অবধি ৬৭টি চিনা কোস্ট গার্ড শিপ জাপানের এলাকায় দেখা গিয়েছে। করোনা ভাইরাসকে ঠিকমত বিশ্বের সামনে তুলে না ধরার ক্ষোভের মাঝেই পরিস্থিতিতে চাপ আরও বাড়ছে।