দরকারে মানুষের মতো কথা বলে গাছেরাও! ভিডিও দেখিয়ে বড় প্রমাণ দিয়ে চমকে দিলেন বিজ্ঞানীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : গাছেরও (Plant) কষ্ট হয়, তাদেরও জীবন আছে এমনটাই জানিয়েছিলেন, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু (Jagadis Chandra Bose)। রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সকলের। আর এবার জাপানি বিজ্ঞানীরা (Japan Scientists) ভিডিও পোস্ট করে জানালেন, দরকার পড়লে মানুষের মত নিজেদের সাথে কথাও বলে উদ্ভিদেরা। প্রমাণ স্বরূপ একটা রিয়েল টাইম ভিডিওও (Viral Video) শেয়ার করেছেন তারা।

যা কিছু আবিষ্কার হয় তা আগে থেকে পৃথিবীতে মজুত থাকে বলেই আবিষ্কার হয়। যুগে যুগে এমন নানা অজানা বিষয় জনমানসের সামনে এনেছেন বিজ্ঞানীরা। গাছেরা একে অপরের সঙ্গে ‘কথা’ বলে, এই আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিলেন জাপানের এক বিজ্ঞানী। যদিও সেটা মানুষের মত নয়, বরং নিজেদের মত করেই যোগাযোগ স্থাপন করে তারা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ থেকে প্রায় ১২৩ বছর আগে বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু আবিষ্কার করেন, গাছেরও প্রাণ আছে। সম্প্রতি যে আবিষ্কার হয়েছে তা এককথায় জগদীশচন্দ্র বসুর থিওরির উপরেই ভিত্তি করে। সায়েন্স অ্যালার্টের তথ্য অনুসারে, উদ্ভিদরা সাধারণত বায়ুবাহিত যৌগগুলির সূক্ষ্ম কুয়াশা দ্বারা বেষ্টিত থাকে। এবং এক্ষেত্রে ‘এয়ারবোর্ন কম্পাউন্ড’ হল যোগাযোগের মাধ্যম।

এই বিষয়ে একটি রিয়েল টাইম ভিডিও-ও প্রকাশ করেছে জাপানের বিজ্ঞানী মহল। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কী ভাবে গাছপালা এই বায়বীয় অ্যালার্মগুলি গ্রহণ করে এবং প্রতিক্রিয়া জানায়। এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে সাইতামা বিশ্ববিদ্যালয়ের আণবিক জীববিজ্ঞানী মাসাতসুগু টয়োটার নেতৃত্বে। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে।

যেখানে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ঠিক কীভাবে একটি অক্ষত উদ্ভিদ কীটপতঙ্গের আক্রমণের পর ক্ষতিগ্রস্ত উদ্ভিদদের দ্বারা নির্গত উদ্বায়ী জৈব যৌগগুলির মাধ্যমে ফের সতেজ হয়ে উঠছে সেই ক্ষতিগ্রস্ত উদ্ভিদটি। এই পরীক্ষার জন্য মোট দুটি গাছ বেছে নিয়েছিলেন বিজ্ঞানীমহল। একটি টমেটো গাছ এবং অপরটি আরাবিডোপসিস। এরমধ্যে একটি গাছে কিছু পোকা ছেড়ে দেন তারা। সেই পোকা যেই গাছের পাতা খেতে শুরু করে তখনই তার প্রভাব পড়ে পাশের গাছটিতে।

টমেটো গাছটি আক্রান্ত হতেই তার পাতা থেকে ‘ভোলাটাইল অরগ্যানিক কম্পাউন্ড’ ছড়িয়ে দেয় আরাবিডোপসিসে। যেটায় আরাবিডোপসিস গাছটি বুঝতে পারে যে তার পাশের গাছটি আক্রান্ত। বায়োসেন্সরের সাহায্যে ধরা পড়ে দুই গাছের কথোপকথন। উল্লেখ্য, গবেষকরা একটি উজ্জ্বল সবুজ রঙের বায়োসেন্সর ব্যবহার করেছিল যেটি ক্যালশিয়াম আয়নকে শনাক্ত করে। মানুষের শরীরের কোষগুলিও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এই ক্যালশিয়াম সিগন্যালিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবেশীর কাছে সিগন্যাল পেয়েই ক্যালশিয়াম সংকেতের বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানায়।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর