বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংক্রমণের কারণে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বিভিন্ন দেশ। এবার জাপানের (Japan) যেসমস্ত কোম্পানি চীনের ব্যবসা করত, তাঁদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে চাইছে জাপান। অর্থাৎ জাপান সরকার আর চাইছে না, চীনে তাঁদের কোন কোম্পানি থাকুক। জাপান সরকার চীনে অবস্থিত জাপানের কোম্পানিগুলোকে বলেছে হয় জাপান ফিরে যেতে, নয়ত বিশ্বের অন্য কোন দেশে চলে যেতে। এবং জাপান সরকার এই জন্য ওই সমস্ত কোম্পানিগুলোকে অর্থ সাহায্য করতেও রাজি আছে।
প্রায় ৩৫০-৪০০ আরব ডলার অর্থ বিশিষ্ট জাপানের কোম্পানি চীনে ব্যবসা করত, যাতে চীনের অনেক মুনফা হত। জাপানের এই সমস্ত কোম্পানিগুলো চীনের প্রায় ৩-৪ লক্ষেরও বেশি নাগরিককে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করত। তবে এখন জাপান সরকার তাঁদের কোম্পানিগুলোকে চীন থেকে সরিয়ে নিতে চাইলে, ভারত এতে অনেক লাভবান হতে পারে।
জাপানের যেসমস্ত কোম্পানি চীনে কারবার করত, তারা এখন আর সেখানে থাকতে পারবে না। তাঁদের হয় জাপানে, না হয় অন্য দেশে চলে যেতে হবে। এই কোম্পানিগুলো জাপানে ফেরত যেতে চাইছে না আর। তার কারণ, জাপানে শ্রমিকদের মজুরি অনেক বেশি, সেখানে নিয়ম নিষেধ অনেক বেশি এবং কমার্সিয়াল ট্যাক্সও অনেক বেশি। সেই কারণে এতদিন তারা চীনে কারবার করত। এখন এই পরিস্থিতিতে ওইসব কোম্পানিগুলো চীন থেকে বেরিয়ে চাইবে ভারতে তাঁদের কোম্পানি খুলতে। তার কারণ, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে কমার্সিয়াল ট্যাক্স অনেক কম। তাই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের ধারণা এবার এইসব কোম্পানিগুলো ভারতে আসতে চলেছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চীনের মিডিয়া জাপানকে গুন্ডা বলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের ধারণা, ভারত এবং জাপান মিলিভভাবে এই কাজ করেছে। ভারতকে লাভবান করার জন্যই জাপান এই কাজ করেছে বলে চীনবাসী মনে করছে।
ভারত এবং জাপানের মধ্যে এক ভালো সম্পর্ক রয়েছে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও একে অপরকে অনেক সাহায্য করে। ভারত কোন প্রজেক্ট শুরু করলে, তাতে জাপানের সহযোগিতা থাকবেই। যেমন- ভারতে আমেদাবাদ-মুম্বাইয়ের বুলেট ট্রেনের প্রজেক্টেও জাপানের কোম্পানির হস্তক্ষেপ রয়েছে। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রজেক্টে জাপানের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে। তাই চীন থেকে জাপানের কোম্পানিগুলো বেরিয়ে এসে ভারতে আসার সম্ভাবনা প্রবল। যার ফলে, ভারত অনেক লাভবান হতে পারে।