বাংলাহান্ট ডেস্ক: ধর্ম রক্ষার নামে যে হত্যালীলা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে একের পর সুর চড়াচ্ছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষেরা। শুধুই ভারতের শিল্পীরা নন, ওপার বাংলার শিল্পীরাও সরব হয়েছেন তাদের নিজেদের দেশের সাম্প্রদায়িক হিংসা দেখে। এবার মুখ খুললেন বর্ষীয়ান বলিউড গীতিকার জাভেদ আখতার (javed akhtar)। শেখ হাসিনা সরকারের তুমুল।সমালোচনা করে আক্রমণকারীদের ‘কাপুরুষ’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি।
টুইটারে আখতার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার। যারা দুর্বল সংখ্যালঘুদের পিষে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা গুণ্ডা, কাপুরুষ এবং বিকৃত কমিউনালিস্ট। শেখ হাসিনা যিনি কিনা সাম্যবাদী মূল্যবোধে বিশ্বাসী তিনি কীকরে নিজের শাসনে এগুলো চলতে দিচ্ছেন!’
বাংলাদেশে দূর্গাপুজোয় উপদ্রবকারী শক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়ে খোলা চিঠি দিয়েছেন টলিউডের কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, দেবশংকর হালদার, ঋত্বিক চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়রা। দুষ্কৃতীদের শাস্তির দাবিতে রাণী রাসমণি রোডে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
What is happening in Bangala Desh is a matter of great shame . Those who are trying to crush a vulnerable minority are bullies cowards and sick communalists. How can Sheikh Haseena who is known for secular values let this happen under her watch
— Javed Akhtar (@Javedakhtarjadu) October 18, 2021
বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তসলিমা নাসরিনরা। শ্রীলেখার প্রশ্ন, “২০২১ সালেও মানুষ ধর্মের অজুহাত দিয়ে এই সমস্ত করে যাচ্ছে। এগুলো সত্যিই কষ্টের। মানুষের জীবনের থেকেও কি ধর্ম বড়? কেন?” ধর্ম নিয়ে এই হিংসার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলেখা।
পরমব্রত লিখেছেন, ‘বাংলাদেশে আমার সমস্ত বন্ধুদের কাছে তাই আমার একান্ত অনুরোধ , কুমিল্লা বা নোয়াখালী তে ঘটে যাওয়া ঘটনার তীব্র নিন্দা করুন কোনো দ্বিধা না রেখে , দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করুন |’ মিথিলার বক্তব্য, ‘ধর্মের নামে রাহাজানি বন্ধ হোক। ঘৃণার ব্যবসা বন্ধ হোক। সবার উপর মানুষ, মানবতা সত্য হোক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুন্দর জীবনের জন্য একটা শান্তিপূর্ণ পথিবী গড়া আমাদের দায়িত্ব’।
দূর্গাপুজোর নবমীর দিন ওপার বাংলার কুমিল্লাতে মণ্ডপে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে দূর্গাপ্রতিমা। নোয়াখালির ইস্কন মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে, খুন হয়েছেন মন্দিরের এক সদস্যও। রবিবার রংপুরের পীরগঞ্জেও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে হিন্দুদের দুটি গ্রাম। এ ঘটনা নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে নেটপাড়ায়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের বাঁচানোর দাবিতেও সরব হয়েছেন অনেকে।